রসুনের অনেক গুণ। এটা রক্তচাপ কমায়। শরীরের ত্বক ভালো রাখে। কারও ঠান্ডা লেগে নাকে পানি ঝরতে থাকলে কিছুক্ষণ এক কোষ রসুনের গন্ধ সরাসরি নাকে নিলে বিরক্তিকর সর্দির যন্ত্রণা কমে যায়। কিন্তু সমস্যা হলো এর গন্ধ খুব তীব্র। পেঁয়াজেও এ রকম সমস্যা আছে, কিন্তু এত তীব্র না।
আর তা ছাড়া পেঁয়াজের গন্ধ মুখে বেশিক্ষণ থাকে না। কিন্তু রসুনের গন্ধ আপনাকে সহজে ছাড়বে না। সকালে নাশতার সঙ্গে এক কোষ রসুন খেলেন তো গেলেন। অনেকক্ষণ কারও সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না। তীব্র গন্ধে সবাই দূরে সরে যাবে। আর যদি আপনি নিজ হাতে রসুনের খোসা ছাড়িয়ে কোষ বের করেন, তাহলে হাতে–গায়ে গন্ধ লেগে থাকবে।
এমনকি শরীরের ঘামের মধ্যেও গন্ধ লেগে থাকবে। এর কারণ কী? এ বিষয়ে স্মিথসোনিয়ান ম্যাগাজিনে (নভেম্বর ২০১৮) লিখেছে, রসুনে কোষ কাটলে বা ছেঁচলে একধরনের রাসায়নিক বিক্রিয়ায় উদ্বায়ু জৈবযৌগ উৎপন্ন হয়। এর একটি উপাদান অ্যালিল মিথাইল সালফাইড (এএমএস)। এটা সাংঘাতিক সক্রিয়। পাকস্থলীতে এটা জীর্ণ হয় না। সরাসরি রক্তে মিশে যায়। তারপর রক্তপ্রবাহের সঙ্গে ফুসফুস ও সেখান থেকে নিশ্বাস বা ঘামের সঙ্গে বাইরে চলে আসে।
তবে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। এর গন্ধ দূর করার উপায় আছে। লেবু, আপেল বা মিন্ট–জাতীয় কিছু সুগন্ধি উদ্ভিজ্জ উপাদানের রাসায়নিক পদার্থ রসুনের গন্ধ নিষ্ক্রিয় করে। ফলে মুখের গন্ধ দূর হয়। আবার রাসুন কাটাকুটি করার পর লবণ–লেবুর রস হাতে মাখলে বা একটু টুথপেস্ট ঘষলে অথবা স্টেনলেস স্টিলের প্লেটে পানি দিয়ে হাত ঘষলে গন্ধ চলে যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।