আবাবিল পাখিকে রহস্যময় হিসেবে অভিহিত করা হয়। অনেকে বিশ্বাস করেন যে, এরা শীতে চাঁদে চলে যায় এবং পানিতে ঘুমায়। তাছাড়া পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থ আল কোরআনে আবাবিল পাখির কথা উল্লেখ রয়েছে। কাজেই অন্যান্য প্রজাতির পাখির থেকে এটিকে আলাদা করে দেখা হয়।
গ্রিক এবং রোমানদের বিভিন্ন গ্রন্থে আবাবিল পাখির কথা উল্লেখ রয়েছে। গাছের কোটর বা আস্তাবলে এটি বাসা বাঁধে। আবাবিল পাখির একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তারা জলাভূমির কাছাকাছি থাকতে ভালোবাসে। প্রচন্ড ঠান্ডা হলে এ প্রজাতির পাখি শীতকালীন অঞ্চল পরিত্যাগ করে ফেলে।
তখন অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে উষ্ণ অঞ্চলে প্রবেশ করে আবাবিল পাখি। উষ্ণ অঞ্চলে কোন আবাবিল পাখির জন্ম হলে সে মৃত্যু পর্যন্ত সেখানেই থাকতে পছন্দ করে। পশ্চিমা বিশ্ব আবাবিল পাখিকে বসন্ত আগমনের প্রতীক হিসেবে দেখতো।
পাখিটির আচরণ দেখে আবহাওয়ার স্বরূপ নির্ণয় করা যেত। আবাবিল পাখি যদি মাটির কাছাকাছি উড়ে তাহলে ধরে নেওয়া হত যে বৃষ্টি হতে যাচ্ছে। যদি মাটির অনেক উঁচুতে উড়ে তাহলে আবহাওয়া ভালো হিসেবে ধরে নেওয়া যেত।
আবাবিল পাখি মৃত মানুষের আত্মা বহন করে এরকম ধারণা প্রচলিত ছিল। এজন্য অনেকেই এটাকে পবিত্র পাখি হিসেবে মনে করেন। শীতকালে আবাবিল পাখিকে খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। তাদের সহজে দেখা যেত না।
এ সময় তারা কোথায় যায় এই নিয়ে গবেষণা হতে থাকে। জলাভূমির কাছাকাছি আবাবিল পাখি থাকতে পছন্দ করে বিধায় এটিকে নিয়ে উপন্যাস বা গল্পে অনেক কিছু লেখা হয়েছে। অনেকেই দাবি করেন যে নদীর তলদেশ থেকে আবাবিল পাখি উপরের দিকে উঠতে থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।