আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তিনি এখনও দেশে ফেরেননি। ফিরবেন কিনা তাও জানা যাচ্ছে না। উল্টে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সমাজের নির্যাতনের কথা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বলে বিতর্কের মাঝে রহস্যময়ী মিসেস সাহা পাচ্ছেন হুমকি।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের দফতর এই সংখ্যালঘু হিন্দু বাংলাদেশি মহিলার পরিচয়ে মিসেস সাহা বলছে। কিন্তু তার নাম প্রিয়া সাহা। তিনি বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনের অন্যতম এক কর্মকর্তার স্ত্রী। তাঁর দুই কন্যা থাকে আমেরিকায়।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সামনে তিনি বাংলাদেশের ৩ কোটি ৭০ লক্ষ সংখ্যালঘু নির্যাতিত তা তুলে ধরেছেন। সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই ত এই প্রিয়া সাহাকে নিয়ে তুমুল আলোড়িত বাংলাদেশ। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন- ‘তিনি (প্রিয়া সাহা) যে অভিযোগ করেছেন, তেমন কিছু ঘটছে বলে আমার জানা নেই। এটা নিশ্চয়ই কোনও চক্রান্ত। এটা উদ্দেশ্যমূলক বলেই আমার মনে হয়।’
হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহার বক্তব্যের ভিডিও দেখে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এই ধরনের অভিযোগ (সংখ্যালঘু নির্যাতন) বাংলাদেশের কোনও মানুষই বিশ্বাস করবে না। করেও না। কারণ, এদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার। প্রধানমন্ত্রীর কঠোর পরিশ্রমের কারণে দেশ আজ এ পর্যায়ে এসেছে, যা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল।’
অন্যদিকে বাংলাদেশের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানান, প্রিয়া সাহার সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ফেসবুকে তাঁর সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য উঠে এসেছে৷ বাংলাদেশ বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে প্রিয়া সাহার মতো অতিথিকে আমন্ত্রণ করায় খুশি নয় বাংলাদেশ।
জানা গিয়েছে, এই সংখ্যালঘু মহিলা প্রিয়া সাহা বাংলাদেশের হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের শীর্ষ সংগঠক। তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে অনেকে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে বিচার চাইছেন।
সূত্র : kolkata24x7
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।