জুমবাংলা ডেস্ক : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশ ও দেশটির মধ্যকার বাণিজ্যে। অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে টেকনাফ স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম। ভাটা পড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্যেও। ব্যবসায়ীরা বলছেন, স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিনই ৫ থেকে ১০টি পণ্যবোঝাই কার্গো ট্রলার এবং জাহাজ বন্দরে ভিড়লেও এখন মাসে ভিড়ছে মাত্র ৩ থেকে ৪টি। বেকার হয়ে মানবেতর দিন কাটছে সহস্রাধিক বন্দর শ্রমিকের।
টেকনাফের নাফ নদী; এপারে অবস্থান টেকনাফ স্থলবন্দরের আর ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য। যা গত ৮ ডিসেম্বর দখলে নেয় মিয়ানমারে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। রাখাইনের মংডু ও আকিয়াব নদী বন্দরের সঙ্গে বাণিজ্যিক কার্যক্রমের প্রধান করিডোর টেকনাফ স্থলবন্দর। এ বন্দর দিয়ে আমদানি হয় কাঠ, সুপারি, মাছ, মসলা, ছোলা, পেঁয়াজ, শুঁটকিসহ নানা পণ্য। এর বিপরীতে রফতানি হয় প্লাস্টিক সামগ্রী, সিমেন্ট, তৈরি পোশাক, ওষুধ, প্রসাধনীসহ নানা খাদ্যপণ্য।
তবে মিয়ানমারে সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম এক প্রকার স্থবির। ব্যবসায়ীরা বলছেন, রাখাইনের মংডু ও আকিয়াব বন্দর আরাকান আর্মির দখলে থাকায় বন্ধ রয়েছে পণ্য আমদানি-রফতানি। স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিনই ৫ থেকে ১০টি পণ্যবোঝাই কার্গো ট্রলার এবং জাহাজ বন্দরে ভিড়লেও এখন মাসে ভিড়ছে মাত্র ৩ থেকে ৪টি।
টেকনাফ বন্দরে মিয়ানমারের পণ্যবাহী ট্রলার আসলেই ব্যস্ততা বাড়ে শ্রমিকদের। মিয়ানমারের সংঘাতের কারণে এখন বেকার অবস্থায় মানবেতর দিন কাটছে বন্দরের এক হাজারের বেশি শ্রমিকের। শ্রমিকরা বলেন, কাজ নেই বললেই চলে। এতে পরিবার-পরিজন নিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
আর বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আদায় হচ্ছে না। কক্সবাজারের টেকনাফ স্থল বন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা বি এম আবদুল্লাহ আল মাসুম বলেন, রাখাইন রাজ্য আরাকান আর্মি দখলে নেয়ার পর জনগণ ও আমদানিকারকদের নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি বিবেচনায় বাংলাদেশ সরকার সীমান্তের জন্য বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে। এতে সাময়িক কমেছে পণ্য আমদানি-রফতানি। ফলে কমছে রাজস্বও।
২০২৩-২৪ অর্থ বছরের ২৩ জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪৭ হাজার মেট্রিক টন পণ্য আসে টেকনাফ বন্দরে। এর বিপরীতে সরকার ২৫৭ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করে। আর ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পণ্য আমদানি হয় ১১ হাজার মেট্রিক টন। যা থেকে সরকার রাজস্ব পায় মাত্র ৮৭ কোটি টাকা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।