জুমবাংলা ডেস্ক: আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং বৃষ্টি না হওয়ায় এবার পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে ইতোমধ্যে গ্রীষ্মকালীন এ ফলটি ভালো দামে বিক্রি হতেও শুরু করেছে। ফলে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।
রাঙামাটিতে বেশিরভাগ তরমুজ উৎপাদিত হয় কাপ্তাই হ্রদের জলে ভাসা জমিতে। এর মধ্যে লংগদু, নানিয়ারচর, বরকল ও রাঙামাটি সদর উপজেলায় সবচে বেশি তরমুজের আবাদ হয়েছে। টসটসে রসালো তরমুজে সয়লাব এখন রাঙামাটি শহরের প্রত্যেকটি বাজার। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে তরমুজ বাজারজাত হচ্ছে চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, কুমিল্লা ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।
স্থানীয় চাষিরা জানান, চলতি মৌসুমে রাঙামাটির প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকায় তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। তরমুজ আবাদে ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে অনেক চাষির।
রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার প্রায় ৭২০০ মেট্রিক টন তরমুজ উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তরমুজ বিক্রেতা দীপংকর চাকমা বলেন, আমি রাঙামাটির লংগদু উপজেলার মাইনী থেকে শতপ্রতি তরমুজ কিনেছি ৫ হাজার থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা দিয়ে। এখানে সমতাঘাটে শতপ্রতি বিক্রয় করছি ৭-৮ হাজার টাকা করে। এবার তরমুজ বিক্রি করে লাভবান হবো।
পাইকারি তরমুজ ক্রেতা আব্দুল মান্নান বলেন, আমি এখান থেকে তরমুজ নিয়ে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যায়। দেশের বিভিন্ন জায়গায় রাঙামাটির তরমুজের চাহিদা আছে।
এদিকে, রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার তরমুজ চাষি মো. আমির হোসেন বলেন, আমি এবার ৬০ একর জমিতে তরমুজের চাষ করেছি। এ বছর বৃষ্টি না হওয়ায় তরমুজের ফলনও ভালো হয়েছে । এখন পর্যন্ত আমি ১৮ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করছি। প্রতি পিস তরমুজ ৮০-১৩০ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি করছি।
রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-রিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আপ্রু মারমা বলেন, রাঙামাটিতে এ বছর আবাহাওয়া ভালো হওয়ার কারণে তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে। ইতোমধ্যে বাজারে তরমুজ আসতে শুরু করেছে। এ বছর চাষিরা আগাম জাতের কিছু তরমুজের চাষ করেছেন। এতে করে বাজারে দামও ভালো পাচ্ছেন চাষিরা।
নেদারল্যান্ডসের আন্তর্জাতিক আদালতে কাজ করে বাংলাদেশি নারী ব্যারিস্টার ফাবিআইয়া
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।