জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানী ঢাকাতে দুই ঘণ্টার ব্যবধানে চারজন মারা গেছেন। মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১১টা থেকে পৌনে ১টার মধ্যে গুলশান, তেজগাঁও ও মহাখালী এলাকায় এ ঘট্না ঘটে।
মৃতরা হলেন, তাসলিমা বেগম (৩৮), মো. নাদিম (২৮), আল-আমিন (১৮) ও ৪০ বছরের এক নারী। তার পরিচয় জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ।
ঢাকা রেলওয়ে (কমলাপুর) থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম জানান, আজ বেলা পৌনে ১১টার দিকে অসাবধানতাবশত তেজগাঁওয়ের নাখালপাড়া বড় মসজিদ সংলগ্ন রেললাইন পার হচ্ছিলেন তাসলিমা ও নাদিম। এ সময় বিমানবন্দরগামী তিতাস এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মারা যান তারা।
মৃতদের স্বজনরা কোনো অভিযোগ না করায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাসলিমা ও নাদিমের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
এসআই আমিনুল আরও জানান, তাসলিমার বাবার নাম ইউসুফ আলী। গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলার কোতোয়ালি থানার মঙ্গলহাটায়। ঘটনাস্থলেই পাশের একটি বাসায় সপরিবারে থাকতেন তিনি। আর নাদিম পেশায় বাস হেলপার। তার বাবার নাম ইলিয়াস মিয়া। গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জ উপজেলার চনপাড়ায়।
এদিকে রাজধানীর গুলশানের নিকেতনে একটি বাসায় রাজমিস্ত্রির কাজ করার সময় ১০তম তলা থেকে নিচে পড়ে মারা যান নির্মাণ শ্রমিক আল-আমিন।
তার সহকর্মী হযরত আলী জানান, আল-আমিনের গ্রামের বাড়ি চাপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চর অনুপনগরে। গুলশানে নিকেতনের ৬ নম্বর রোডের একটি নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবনে কাজ করছিলেন তারা। আল-আমিন থাকতেন ওই ভবনেই। সকাল ১০টার দিকে কাজ করার সময় হঠাৎ নিচে পড়ে যান তিনি। আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আল-আমিনকে মৃত ঘোষণা করেন।
মহাখালীতে ৪০ বছর বয়সী অজ্ঞাত নারীর মৃত্যুর বিষয়ে তাকে উদ্ধারকারী পথচারী মারুফ হোসেন জানান, আজ পৌনে ১টার দিকে মহাখালীর জাতীয় বক্ষব্যাধী হাসপাতালের সামনের রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি অটোরিকশা ওই নারীকে ধাক্কা দেন। এতে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন তিনি।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিলে দুপুর ২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। প্রিন্টের সুতির শাড়ি পরিহিত ওই নারীর হাতে একটি কাপড়ের পোটলা ছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।