জুমবাংলা ডেস্ক: নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ঈদের পর নির্বাচনী এলাকায় এসেছেন ১৬ মে। গত তিন দিন ধরে কাঠফাটা রোদেও সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করছেন।
নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়, সাধারণ মানুষের সমস্যা ও সমাধানের প্রাণপণ চেষ্টা, রাস্তাঘাটের উন্নয়নে অনিয়ম-দুর্নীতি হচ্ছে কিনা তা সরেজমিনে পরিদর্শন, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো ও মানুষের প্রত্যাশা জানতে ছুটে চলেছেন।
বিভিন্ন এলাকার বিবাদ মীমাংসারও চেষ্টা করতে দেখা গেছে তাকে। এরই অংশ হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচনি এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। মঙ্গলবার বিকেলে ইতনা এসপিএল প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বিবাদ মীমাংসায় সবার উদ্দেশে দেওয়া একটি বক্তব্য মানুষের হৃদয় স্পর্শ করেছে। গ্রামের সাধারণ মানুষ বুঝতে পারে এমন সাবলীল ভাষায় দেওয়া বক্তব্যটি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হয়েছে। তার ওই বক্তব্যের পর এলাকার দুই পক্ষের দীর্ঘদিনের বিবাদের অবসান ঘটেছে।
মাশরাফি তার বক্তব্যে বলেন, ‘ঈদের নামাজ আপনারা ৩০টা রোজা রেখেও পড়তে পারেননি! অমুক নেতা ঢাকায় বসে বলছে মাইরে দিয়ে আয়, আপনি মেরে দিলেন। মাইরে দিয়ে এসে আপনার কী হলো আপনি বুঝলেন না। সে কি আপনার মামলা লড়ে? কোনো দিন লড়েছে? জেল যা খাটার তা তো আপনারাই খাটছেন, নাকি? খাটছেন না? তারা আপনাদের কী দেয়? খাইতে দেয়?’
এই ধরেন আমার কথায় আপনারা এইগুলা করতেছেন, ধইরে নিলাম। আমি আপনাকে খাইতে দি? পরতে দি? ছেলেমেয়ের পড়াশোনা করাই? হাসপাতালে ভর্তি করাই? তাহলে আমি কিসের নেতা। আমার কথায় আপনি আরেকজনকে মেরে ফেলবেন।
তিনি আরো বলেন, ‘আপনারা কেউ মারামারি করবেন না। মারামারি করবেন তো খবর আছে। এবার কিন্তু কোনো পিরিত হবে না।’
এ সময় লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও এলাকার প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, ইতনা ইউনিয়নের দুর্গম পাংখারচর গ্রামের চলমান বিরোধে হত্যাসহ ২২টি মামলা ছিল। দেড় বছর আগে মামলাগুলো মীমাংসা হলেও দেড় মাস পর থেকে আবার বিরোধের সৃষ্টি হয়। এবার সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তাজার উপস্থিতিতে মীমাংসা করা হলো। আশা করি, এখন থেকে এলাকাবাসী শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।