রাজশাহীতে জমে উঠছে গ্রীষ্মকালীন মৌসুমি ফল তরমুজের বাজার
জুমবাংলা ডেস্ক: রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলার হাট বাজারে উঠতে শুরু করেছে গ্রীষ্মকালীন মৌসুমি ফল তরমুজ। এছাড়াও শহরের ফলের দোকানগুলোতেও তরমুজ প্রচুর পরিমাণে আসতে শুরু করেছে এই রসালো ফল। আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বিক্রির পরিমাণও ক্রমানসারে বাড়ছে বলে জানান বিক্রেতারা।
রাজশাহীর বিভিন্ন বাজারগুলোতে ও সড়কের পাশে তরমুজ বিক্রি করতে দেখা গেছে। ফলের দোকানগুলোতে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। তরমুজ কিনতে আসা ক্রেতা মিনরুজ্জামান বলেন, গ্রীষ্মকালীন একটি জনপ্রিয় ফল তরমুজ। এটি শুধু শীতলকারক, তৃষ্ণা নিবারক ও প্রশান্তিদায়কই নয়, চিকিৎসকদের মতে তরমুজে সাইট্রুলিন নাইট্রিক অক্সাইড উৎপাদন করে।
কাটাখালি রাজারের ফল ব্যবসায়ী সাখাউর রহমান মিঠু বলেছেন, বর্তমানে বাজারে পতেঙ্গা, কুয়াকাটা, বরিশালসহ বিভিন্ন জেলার মোকাম থেকে কালো ও বাংলালিংক জাতের এই তরমুজ শহরের আড়ৎগুলোতে আমদানি করছে। সেখান থেকে কিনে নিয়ে এসে বিক্রি করছি। ওই ব্যবসায়ী আরও বলেন, প্রতি বছর এই মৌসুমি ফলের ব্যবসা করি।
এ অঞ্চলে তরমুজের আবাদ তেমন হয় না। কয়েকটি এলাকাতে অল্প পরিসরে আবাদ হলেও এই সময়ে বাজারে আসে না। আমরা বরিশাল থেকে তরমুজ নিয়ে এসে বিক্রি করি। এর স্বাদ ভালো থাকায় বাজারে চাহিদা আছে। বেশ কয়েক দিন ধরে বিক্রি করছি। বেচাকেনা এখনো সেভাবে জমে ওঠেনি। তবে রমজান মাসে বেচাকেনা জমে উঠবে।
তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ডা. রুহুল আমিন বলেন, তরমুজ উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। টিউমারের বৃদ্ধি হ্রাস করে, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় এবং এর বিটা ক্যারোটিন হৃদযন্ত্রের শক্তি ও কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক প্রতিহত করে। এতে বিদ্যমান পটাশিয়াম ফ্লুরিড ও মিনারেলের ভারসাম্য ঠিক রাখে, মাংস পেশির অতিরিক্ত সংকোচন দূর করে। এটি ফুসফুস, যকৃত কিডনি ও পাকস্থলীকে শক্তিশালী করে। পেপটিক আলসার সৃষ্টিতে বাধা দেয় এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও বিক্রি, জালি টুপি বুনে বছরে আয় ৬০ কোটি টাকা!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।