নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি ও পাহাড়িয়া পরিষদের যৌথ আয়োজনে পাহাড়িয়া জাতিগোষ্ঠীর মাতৃভাষার কী-বোর্ড উদ্বোধন করেছেন বিভাগীয় কমিশনার ও একাডেমির নির্বাহী পরিষদের সভাপতি ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে একাডেমির মিলনায়তনে পাহাড়িয়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মাতৃভাষা চর্চার প্রতিবন্ধকতা ও উত্তোরণে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভা শেষে পাহাড়িয়া মাতৃভাষার কী-বোর্ডের উদ্বোধন করেন তিনি।
এসময় বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির পক্ষ থেকে প্রধান অতিথিকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়েছে।
পাহাড়িয়া ভাষ’র প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ‘মানুষের সাথে প্রকৃতির সম্পর্ক তৈরি করতে ভাষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। একমাত্র ভাষার কারণেই মানুষ অন্যান্য জীবের থেকে বিশেষ স্বীকৃতি পেয়েছে। তাই ভাষা টেকনোলজি ও প্রকৃতির সাথে সুসম্পর্ক তৈরি করেছে। এক্ষেত্রে যে জাতি যত বেশি ভাষা জানবে, সেই জাতি তত বেশি তথ্য ও জ্ঞানে সমৃদ্ধ হবে। আজ থেকে পাহাড়িয়া ভাষাটি দক্ষিণ এশিয়ার নবীনতম ভাষা হিসেবে ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করলো। এর মধ্য দিয়ে পাহাড়িয়া মাতৃভাষার কী-বোর্ডটি বিশ্বে ২৯৫ তম কীবোর্ড হিসেবে স্বীকৃতি পেল। বিশ্বের দরবারে ভবিষ্যৎ তরুণ প্রজন্মকে পাহাড়িয়া ভাষার সাথে পরিচিত করতে এই কীবোর্ড সহযোগিতা করবে।’
আলোচনা সভার শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব ও রাজশাহী বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির উপ-পরিচালক বেনজামিন টুডু।
রাজশাহী বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির ইন্সট্রাক্টর মানুয়েল সরেন এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে কালচারাল একাডেমির পক্ষ থেকে পাহাড়িয়া জাতিগোষ্ঠীর মাতৃভাষার কীবোর্ডের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন একাডেমির নির্বাহী সদস্য ও সোনার দেশ পত্রিকার সম্পাদক আকবারুল হাসান মিল্লাত।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির নির্বাহী পরিষদের সদস্য মিসেস শেলী প্রিসিল্লা বিশ্বাস, আদিবাসী ভাষা প্রযুক্তিবিদ সমর মাইকেল সরেন, নবাই বটতলা ধর্মপল্লীর সহকারী পাল-পুরোহিত ফাদার আরতুরো স্পেজিয়ালে পিমে, পাহাড়িয়া পরিষদের নির্বাহী পরিচালক অভিলাষ বিশ্বাস।
এছাড়াও আরো বক্তব্য রাখেন- আদিবাসী ভাষা বিশেষজ্ঞ মৃদুল সাংমা।
রাজশাহী কলেজের ম্যানেজার বিভাগের অনার্স ফাইনাল শিক্ষার্থী শিশির বিশ্বাস জানান, পাহাড়িয়া কী-বোর্ডটি দেশ ও বহির্বিশ্বের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে সহযোগিতা করবে। বর্তমান প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য পাহাড়িয়া কী-বোর্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আমি এর উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।
কসবা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী সোনালী ও রজনী বিশ্বাস জানান, পাহাড়িয়া কী-বোর্ড উদ্বোধন করার ফলে আমরা পাহাড়িয়া মাতৃভাষায় মনে ভাব প্রকাশ করতে ও লিখতে পারবো। তাই আমরা অনেক আনন্দিত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।