জুমবাংলা ডেস্ক: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘রাজশাহী অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক, উজ্জ্বল ইতিহাস, ঊর্বর ভূমি, ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থাসহ এর উপযোগিতা কাজে লাগাতে পারলে এ শহর দেশের মধ্যে একটি উন্নত নগরীতে রূপান্তরিত হবে।’
তিনি আজ রাজশাহী সফরে এসে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনসহ অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের অধীনে বাস্তবায়িত এবং চলমান উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘রাজশাহীর উপযোগিতা অনুযায়ী অনেক উন্নয়ন করা সম্ভব। জনবসতি, অবকাঠামো ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটিয়ে সুন্দর নগরী হিসেবে গড়ে তোলার উপযুক্ত জায়গা এটি। এ অঞ্চলে যে উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে তা বাস্তবায়িত হলে এ শহর দেশের মধ্যে একটি অনন্য নগরীতে রূপান্তরিত হবে।’
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘রাজশাহীর উন্নয়নের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে অনেক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং উন্নয়নের স্বার্থ প্রয়োজনে আরও বরাদ্দ দেয়া হবে বলে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নগরীর ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নয়নের জন্য সিটি কর্পোরেশন থেকে কোন প্রকল্প নেয়া হলে সে গুলোকে বিবেচনায় নিয়ে যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দেয়া হবে। তবে যে কোন প্রকল্প গ্রহণের সময় জনগণের বিষয়টি মাথায় রেখে করতে হবে। কারণ সকল উন্নয়নই মানুষের কল্যাণের জন্য।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘রাজশাহী নগরী এবং আশপাশের মানুষের নিকট সুপেয় পানি সরবরাহের জন্য একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট প্রকল্প নেয়া হয়েছে এবং ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু হয়েছে।’
রাজশাহীর অবকাঠামোগত উন্নয়ন, যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ সামগ্রিকভাবে মানুষের জীবন মানোন্নয়নে যা যা করা দরকার তার সবই করা হবে বলে জানান তিনি।
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার যেমনি রয়েছে তেমনি না করারও অধিকার রয়েছে। বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি করবে না সেটা তাদের দলীয় সিদ্ধান্তের বিষয়।’
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সকল পৌরসভার অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য একটি মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করা হয়েছে এবং এর কাজ চলমান রয়েছে। এই মাস্টর প্ল্যানের মাধ্যমে যাতে করে দীর্ঘমেয়াদি চাহিদা পূরণ করে টেকসই উন্নয়ন করা যায় সে জন্য কাজ করা হচ্ছে।’
পরিদর্শনকালে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ এইচ এমস খায়রুজ্জামান লিটন, সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, এলজিইডি ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী, বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, সার্কিট হাউসে আয়োজিত স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় রাজশাহী বিভাগে চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর/সংস্থার সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময়, মন্ত্রী বলেন, দেশের নাগরিক হিসেবে শহর, গ্রাম-গঞ্জে যে যেখানেই বসবাস করুক না কেন সবাই রাষ্ট্রের প্রদেয় সকল নাগরিক সুবিধা পাবেন। সবার উন্নত জীবন ব্যবস্থা করতে পারলেই বাংলাদেশে উন্নত হবে। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ছোট হোক বড় হোক যে কোনো প্রকল্প সময় বান্ধব এবং প্রোডাক্টিভ হতে হবে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত টাইমলাইন অনুযায়ী প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে। কাজের কোয়ালিটির ব্যাপারে কোনো ছাড়া হবে না। নিম্নমানের কাদের সাথে কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং নতুন প্রজন্মের জন্য দেশটাকে একটি সুন্দর জায়গায় রাখার জন্য সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
পরে, জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এ, এইচ, এম কামরুজ্জামানের কবর জিয়ারত করে তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করেন। এছাড়া শাহ মখদুম (র.) এর কবর জিয়ারত করেন মন্ত্রী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।