বিনোদন ডেস্ক: ঢাকাই চলচ্চিত্রের শক্তিমান অভিনেতা ওয়াসীমুল বারী রাজীব। তিনি রাজীব নামেই পরিচিত। প্রায় দুই শতাধিক বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এই অভিনেতা। খলনায়ক হিসেবে সফল হলেও অনেক চলচ্চিত্রে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন। অসংখ্য ভক্তকে কাঁদিয়ে ২০০৪ সালের ১৪ নভেম্বর না ফেরার দেশে চলে যান।
কর্মগুণে মৃত্যুর ১৮ বছর পরও ভক্তদের হৃদয়ে বেঁচে আছেন রাজীব। এখনো দর্শকদের কাছে রাজীবকে নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই। মৃত্যুবার্ষিকীতে তার পরিবার সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন এই প্রতিবেদক। রাজীবের এক আত্মীয় জানান, রাজীবের পরিবার হওয়াতে গর্ব করেন তারা। সন্তানরাও রাজীবের সন্তান হিসেবে গর্ব করেই বলেন। কিন্তু রাজীবের সন্তানদের সিনেমা নিয়ে কোনো আগ্রহ নেই। চলচ্চিত্রের মানুষদের সঙ্গে খুব একটা যোগাযোগ নেই, সব রকমের আলোচনা ও প্রচারণা থেকে নিজেদের দূরেই রাখতে চান।
বর্তমানে রাজধানীর উত্তরাতে বসবাস করেন রাজীবের পরিবার। সেখানে নিজেদের বাসায় থাকেন তারা। রাজীবের স্ত্রী ইশমত আরা রাজীব। সংসার আর ধর্মকর্মেই কেটে যায় তার দিন। রাজীব-ইশমত দম্পতির সংসারে এক পুত্র ও দুই কন্যা। এদিকে রাজীবের প্রথম স্ত্রী তার ছেলেকে নিয়ে পটুয়াখালীতে থাকেন।
১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি দক্ষিণের জেলা পটুয়াখালীর দুমকিতে জন্মগ্রহণ করেন রাজীব।২০০৪ সালে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তাকে উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরে সিটি করপোরেশন কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। রাজীবের সিনেমায় অভিষেক হয় কাজী হায়াতের ‘খোকন সোনা’ নামের একটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে। তিনি চারবার শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) ব্যবস্থাপক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
রাশভারী এ অভিনেতার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে-হাঙর নদী গ্রেনেড, প্রেম পিয়াসী, সত্যের মৃত্যু নেই, স্বপ্নের পৃথিবী, আজকের সন্ত্রাসী, দুর্জয়, দেনমোহর, স্বপ্নের ঠিকানা, মহামিলন, বাবার আদেশ, বিক্ষোভ, অন্তরে অন্তরে, ডন, কেয়ামত থেকে কেয়ামত, ভাত দে, অনন্ত ভালোবাসা, রাজা শিকদার ও বুকের ভেতর আগুন, সাহসী মানুষ চাই, বিদ্রোহ চারিদিকে, দাঙ্গা প্রভৃতি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।