জুমবাংলা ডেস্ক : বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহারে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে এক তরুণীকে খালার বাড়িতে এনে অচেতন করে রাতভর ধর্ষণের ঘটনায় দুজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় শনিবার সকালে কলেজ ছাত্রী নিজে বাদী হয়ে ধর্ষক পুলিশ সদস্যের ছেলে রাজ ও তার খালা ইতু বেগমের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও সহায়তার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
তবে মামলার কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। আদমদীঘি থানার ওসি জালাল উদ্দীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, পাঁচ-ছয় মাস আগে উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের পান্নার মোড় এলাকার আব্দুল হাকিমের ছেলে রাজের (২০) সাথে এক বান্ধবীর মাধ্যমে পরিচয় হয় নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জের (১৯) এক তরুণীর। পরিচয়ের পর থেকে রাজের সঙ্গে তাঁর নিয়মিত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হতো। এমতাবস্থায় রাজ তাঁকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেন।
আরো জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার সান্তাহার ফারিস্তা পার্কে সাক্ষাৎ করেন ওই তরুণী। সেখান থেকে ওই দিন সন্ধ্যায় রাজ তাঁকে সান্তাহার পান্নার মোড়ে তাঁর খালা ইতু বেগমের (২৫) বাসায় নিয়ে যান। রাতে রাজ তাঁকে বিরিয়ানি ও কোক খাওয়ালে ওই তরুণী অচেতন হয়ে পড়েন। রাতে রাজ তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাঁকে ধর্ষণ করেন।
পরদিন শুক্রবার সকালে ঘুম থেকে উঠে ধর্ষণের বিষয়টি বুঝতে পেরে রাজকে জিজ্ঞেস করলে তিনি স্বীকার করেন। তখন তাঁকে বিয়ের কথা বললে টালবাহানা শুরু করেন। এরপর তিনি ওই তরুণীকে শাখের পল্লী পার্কে যেতে বলেন। সেখানে শুক্রবার দুপুর ১টায় রাজ ও তাঁর খালা ইতু বেগম এবং রাজের বন্ধু জয় তাঁর কাছে আসেন। রাজ ও ইতু বেগম তাঁকে মারধর করেন। শুধু তা-ই নয়, ইতু বেগম তাঁর হাতে ৫০০ টাকা ধরিয়ে দিয়ে বাড়ি চলে যেতে বলেন এবং বিভিন্ন ভয়-ভীতি ও হুমকি-ধমকি দেন।
শনিবার সকালে ওই তরুণী থানায় দুজনের নামে মামলা দায়ের করেন।
সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) রকিব হোসেন জানান, শনিবার সকালে দুজনের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের হয়েছে। ওই তরুণীকে পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য জোর তৎপরতা চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।