জুমবাংলা ডেস্ক : রাজশাহীর দুর্গাপুর সিংগা বাজারে রাতের আঁধারে সড়কে আরসিসি ঢালাই কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অব্যবস্থাপনা ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের কারণে সকালেই ঢালাই পরিণত হয় কাদায়।
এদিকে রাতের আঁধারে এমন ঢালাই কাজ করায় স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে আরসিসি ঢালাই করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
জানা গেছে, নওগাঁর মুহাম্মদ আমিনুল হক প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ২৮ কোটি ৭৪ লাখ ৫ হাজার ৭৪৫ টাকা চুক্তিতে দুর্গাপুর উপজেলার তিনটি পাকা সড়ক নির্মাণ ও বাজার এলাকায় আরসিসি টালাই কাজ শুরু করেন।
ঢালাইয়ের পর সড়ক টেকসইয়ের জন্য চারপাশ বেঁধে পানিবন্দি করে রাখার নিয়ম থাকলেও তা মানা হয়নি। এমনকি কোনো প্রকার পানির ছিটাফোঁটাও পড়েনি। এদিকে সড়কের অপর পাশে শনিবার রাতে আবারও রাতের আঁধারে তড়িঘড়ি করে ঢালাই করা হয়।
রোববার স্থানীয় হাটবার হওয়ায় ঢালাইয়ের সঙ্গে সঙ্গে বাজারে লোকজন ও যানবাহন চলাচল করায় কাদামাটা হয়ে যায় পুরো ঢালাই সড়ক।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, হাটবার যেনেও তারা ঢালাই করেছে। ফলে মানুষ ও যানবাহন চলার কারণে পুরো সড়কের অনেকটাই নষ্ট হয়ে গেছে। এর জন্য সংশ্লিষ্টরাই দায়ী।
ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন জানান, সড়ক ঢালাইয়ের আগে হুটহাট করে সড়কের দুই পাশে ইট গাঁথে তারা। এরপর দেখি হঠাৎ রাতের আঁধারে সড়কটি ঢালাই হয়ে গেছে।
সিংগা হাটে পিঁয়াজ বিক্রি করতে আসা আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা হাটবার ভোরে পিঁয়াজ নিয়ে বাজারে আসি। এসে দেখি রাস্তা কাদা হয়ে আছে। পরে দেখি কাদা না, রাস্তা ঢালাই করা হয়েছে। বাধ্য হয়ে তার ওপর দিয়েই ভ্যানগাড়িতে পিঁয়াজ নিয়ে গেলাম।
তিনি আরও বলেন, এই ঢালাই কাজ যদি বৃহস্পতিবার করা হতো তাহলে এমন হতো না। তারা তাদের ইচ্ছেমতো কাজ করায় এক দিকে সড়কের ক্ষতি হয়েছে, অন্যদিকে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হলো।
এ বিষয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুর্গাপুর উপজেলা প্রকৌশলী মাসুকই মোহাম্মদ বলেন, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান আরসিসি ঢালাই কাজ শেষে ২৮ দিন পরে তারা আমাদের কাজ বুঝিয়ে দিবে। ঢালাই কাজে যদি কোনো সমস্যা বা অনিয়ম হয়ে থাকে তাহলে আমরা নিয়ম অনুসারে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে চিঠি করব এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।