দিনের শুরুটা হয় কাজ দিয়ে। রাতটা বিশ্রামের জন্য। রাতে যে আমাদের শরীর যেমন বিশ্রাম নেয়, তেমনই বিশ্রাম নেয় আমাদের মস্তিষ্কও। তবে রাতে কিছু অভ্যাস আছে যেগুলো মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে কাজ করে। স্নায়ু বিশেষজ্ঞরা শক্তিশালী মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য নির্দিষ্ট রাতের অভ্যাস অনুসরণ করার ওপর জোর দেন। দিনের সময়টাতে শরীরের বিভিন্ন অংশে স্ট্রেস সঞ্চিত হতে পারে এবং সময়মত মুক্তি না পেলে একটি দীর্ঘস্থায়ী রূপ ধারণ করে। এই স্ট্রেস মোকাবিলা করতে এবং মস্তিষ্কের বোঝা কমাতে রাতটাকে স্বস্তিদায়ক করা গুরুত্বপূর্ণ। চলুন জেনে নেওয়া যাক রাতের কোন অভ্যাসগুলো মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে-
১. গভীর শ্বাস নেওয়া
আমাদের মস্তিষ্ক একটি চাপপূর্ণ দিনের পরে ‘ফাইট অ্যান্ড ফ্লাইট’ মোডে থাকতে পারে। তাই প্যারাসিমপ্যাথেটিক স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় করা গুরুত্বপূর্ণ যা মস্তিষ্ককে নিরাপদ বোধ করতে এবং ‘বিশ্রাম ও মেরামত’ মোডে যাওয়ার সংকেত দেয়। যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চাপ দূর করতে এবং সামগ্রিক সুস্থতার জন্য এটা জরুরি। তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কিছুক্ষণ গভীরভাবে নিঃশ্বাস নেওয়ার ব্যায়াম করতে।
২. বই পড়ুন
একটি বইয়ের কয়েকটি পৃষ্ঠা অতিরিক্ত উদ্দীপিত মস্তিষ্ককে গভীরভাবে শিথিল করতে পারে। বিশেষ করে আজকের ডিজিটাল যুগে, যখন আমরা এত বেশি তথ্য ওভারলোড, সংবেদনশীল ইনপুট এবং উচ্চ শব্দের সঙ্গে কাজ করছি, পড়ার প্রক্রিয়া মস্তিষ্কের এমন অঞ্চলগুলোকে সক্রিয় করে যা সৃজনশীলতা এবং শিথিলতাকে উন্নীত করে। গবেষণা অনুসারে, এটি সত্যিই মানসিক চাপের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।
৩. স্ক্রিন টাইম সীমিত করুন
সব সময় স্ক্রিনের সাথে আটকে থাকার ফলে মনোযোগ এবং ফোকাস সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে। খুব বেশিক্ষণ আপনার কম্পিউটার কিংবা স্মার্টফোনে কাটাবেন না। একটি গবেষণা অনুযায়ী, অতিরিক্ত সময় স্ক্রিনের সামনে কাটালে আমাদের মস্তিষ্কের কর্টেক্স পাতলা হতে পারে। স্ক্রিন টাইম সীমিত করলে তা মস্তিষ্কের শিথিলতা এবং পুনরুজ্জীবন ফিরিয়ে আনে।
৪. শোবার সময় যোগব্যায়াম
এই ব্যায়ামের ফলে অবাঞ্ছিত চাপ থেকে মুক্তি লাভ হতে পারে। সেইসঙ্গে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য অনেকটাই ভালো থাকে। জমে থাকা স্ট্রেস থেকে মুক্তি এবং মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করার একটি কার্যকর উপায় হতে পারে এই যোগব্যায়াম। এটি মানসিক চাপ মোকাবিলা এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়ক।
৫. ধাঁধা সমাধান করুন
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নিয়ম করে একটি ধাঁধা সমাধান করুন। ধাঁধা করা মস্তিষ্কের কোষগুলোর মধ্যে সংযোগকে শক্তিশালী করার জন্য পরিচিত যা স্বল্পমেয়াদী স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে পারে। এটি ফিল গুড রাসায়নিক বাড়ায় এবং। সেইসঙ্গে মেজাজ, স্মৃতিশক্তি এবং মনোযোগ উন্নত করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।