 ধর্ম ডেস্ক : ঘুম বা নিদ্রা হচ্ছে মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীর দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডের ফাঁকে বিশ্রাম নেওয়ার একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। যখন সচেতন ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া স্তিমিত থাকে। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনুল কারিমে বলেছেন, আর তোমাদের ঘুমকে আমরা প্রশান্তির কারণ করেছি।
ধর্ম ডেস্ক : ঘুম বা নিদ্রা হচ্ছে মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীর দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডের ফাঁকে বিশ্রাম নেওয়ার একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। যখন সচেতন ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া স্তিমিত থাকে। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনুল কারিমে বলেছেন, আর তোমাদের ঘুমকে আমরা প্রশান্তির কারণ করেছি।
সাধারণ ঘুম একটি মৃত্যুর মতো প্রক্রিয়া। হাদিসে বলা আছে মানুষ যখন ঘুমায় তখন মানুষের আত্মাটা ৪র্থ আকাশে থাকে। অতঃপর যখন মানুষ জাগ্রত হয় মানুষের আত্মাটা সঙ্গে সঙ্গে চলে আসে। রাসুল (স.) ঘুমানোর আগে কি করতে হবে সে শিক্ষাও দিয়েছেন।
রাসুল (স.) ঘুমানোর আগে যে আমলগুলো করতে বলেছেন সেগুলো তুলে ধরা হলো-
১. দুই হাতের তালু একত্রে মিলিয়ে সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস পড়ে তাতে ফুঁ দিবে : তারপর দুই হাতের তালু দ্বারা দেহের যতোটা অংশ সম্ভব মাসেহ করবে। মাসেহ আরম্ভ করবে তার মাথা, মুখমণ্ডল ও দেহের সামনের দিক থেকে। (এভাবে ৩ বার করবে।) (বুখারি-৫০১৭)
২. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি শোয়ার সময় আয়াতুল কুরসী পড়বে শয়তান সারা রাত তার নিকটে যাবে না।(বুখারি-২৩১১)
৩, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি রাতে সুরা বাকারার শেষ ২ আয়াত (আ-মানার রাসূলু–) তেলাওয়াত করবে এটা তার জন্য যথেষ্ট হবে ”। (বুখারি- ৪০০৮)
৪. নবী (সাঃ) বলেছেন, রাতে (কুল ইয়া আইয়্যু হাল কা-ফিরুন) (অর্থাৎ সূরা কা-ফিরুন) পাঠ করা শির্ক থেকে মুক্তি পেতে উপকারী। (সহীহ তারগীব-৬০২)
*
৫- একদা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তার সাহাবাদের বললেন, “তোমাদের কেউ কি এক রাতে এক তৃতীয়াংশ কুরআন পড়তে অসমর্থ হবে?” এতে সকলকে বিষয়টি ভারী মনে হল। বলল, একাজ আমাদের মধ্যে কে পারবে, হে আল্লাহর রাসূল?! তিনি বললেন, সূরা ইখলাস হল এক তৃতীয়াংশ কুরআন।(বুখারী- ৫০১৫)
*
৬- “রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যখন ঘুমানোর ইচ্ছা করতেন তখন তাঁর ডান হাত তাঁর গালের নীচে রাখতেন, তারপর এ দো‘আটি বলতেন।”
« ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺑِﺎﺳْﻤِﻚَ ﺃَﻣُﻮﺕُ ﻭَﺃَﺣْﻴَﺎ ».
(আল্লাহুম্মা বিস্মিকা আমূতু ওয়া আহ্ইয়া)।
“হে আল্লাহ ! আপনার নাম নিয়েই আমি মরছি (ঘুমাচ্ছি) এবং আপনার নাম নিয়েই জীবিত (জাগ্রত) হবো।(বুখারি- ৬৩২৪)
*
৭- রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আলী এবং ফতেমা (রাঃ)- কে বলেন : আমি কি তোমাদেরকে এমন কিছু বলে দিবো না যা তোমাদের জন্য খাদেম অপেক্ষাও উত্তম হবে? যখন তোমরা তোমাদের বিছানায় যাবে, তখন তোমরা ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ, এবং ৩৪ বার আল্লা-হু আকবার বলবে, তা খাদেম অপেক্ষাও তোমাদের জন্য উত্তম হবে’’। (বুখারী- ৩৭০৫)
*
৮- রাসূল (সাঃ) বলেন : “যে ব্যাক্তি প্রত্যেক রাতে তাবারকাল্লাযী বিইয়াদিহিল মুলক (সুরাহ মূলক) পাঠ করবে এর মাধ্যমে মহিয়ান আল্লাহ্ তাকে কবরের আযাব থেকে রক্ষা করবেন (নাসাই- শাইখ আলবানি (রঃ) হাদিসটাকে হাসান সহিহ বলেছেন এছাড়াও তিরমিজি-২৮৯০)।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।

 


