লাইফস্টাইল ডেস্ক : টকদই শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়। টক দইয়ের মধ্যে যে ব্যাকটেরিয়া, ভিটামিন এবং নানা রকমের খনিজ রয়েছে, তা শরীরে প্রবেশ করলে শরীর ভালো থাকে। বিশেষ করে যারা দুধ খেয়ে সহ্য করতে পারেন না তারা বাড়িতে দই পেতে খেতে পারেন। এতে যেমন শরীর ভালো থাকে তেমনি ত্বক এবং চুল ভালো থাকে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, রাতের বেলা টক দই খাওয়া উচিত নয়। রাতে খেলে কিছু বিশেষ ঝুঁকি থাকতে পারে।
প্রাচীন আয়ুর্বেদ চিকিৎসা অনুযায়ী, রাতে দই খাওয়া উচিত নয়। ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজির মতে, দই আমাদের শরীরের টিস্যুর বিপরীত ক্রিয়াকলাপ বাড়ায়, যার কারণে এটি শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও করে। এ কারণে রাতে দই খাওয়ার কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়। যেমন-
বমি হতে পারে: রাতে দই খেলে পরিপাকতন্ত্রের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। এ কারণে বমি হতে পারে।
ব্রণের সমস্যা হতে পারে : একটি ক্লিনিকাল ট্রায়ালের সময় দেখা গেছে, যারা ২ সপ্তাহ ধরে নিয়মিত রাতে দই খান তাদের ব্রণের সমস্যা দ্রুত হয়।
কফ তৈরি হতে পারে: আয়ুর্বেদে আরও বলা হয়েছে, রাতে দই খাওয়ার ফলে শরীরে অতিরিক্ত কফ তৈরি হতে শুরু করে। এতে গলা ব্যথা এবং সর্দির সমস্যাও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
স্থূলতা : একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় বলা হয়েছে, রাতে অতিরিক্ত দই খেলে স্থূলতার সমস্যাও বাড়তে পারে। এর পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যও হতে পারে।
আর্থ্রাইটিস বাড়ে : যাদের বাতের সমস্যা আছে তাদের অন্তত দই খাওয়া উচিত নয়। দই খেলে জয়েন্টে ব্যথার সমস্যা বাড়তে পারে।
টকদই খাওয়ার সময় যে সতর্কতা জরুরি-
দই পাতার পর ২৪ ঘণ্টার বেশি রাখা থাকলে দইয়ের পুষ্টিগুণ ক্রমশ কমতে থাকে।
বাড়িতে পাতা টক দই ছোট বাটির এক বাটি খাওয়া যেতে পারে প্রতিদিন। অর্থাৎ ১০০ থেকে ২০০ গ্রাম।
কৃত্রিম স্বাদ-গন্ধযুক্ত দই খেলে কোনও উপকার হয় না।
টক দইয়ের সঙ্গে ফল মিশিয়ে স্যালাড হিসেবে খাওয়া যেতে পারে। ঘরের তাপমাত্রায় রাখা টক দই খাওয়াই ভালো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।