জুমবাংলা ডেস্ক : কোরবানির পশু চোরাই পথে আনা নিয়ে সমকালের প্রধান শিরোনাম, ‘রাত নামলেই সীমান্ত দিয়ে ঢুকছে চোরাই গরুর পাল’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে সীমান্তের কাঁটাতার, নদী আর পাহাড় সবকিছু একাকার করে ভিনদেশের গরু মিশে যাচ্ছে কোরবানির হাটে।
এর পেছনে স্থানীয় রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি সন্ত্রাসী ও প্রশাসনের কিছু ব্যক্তি জড়িত থাকায় চোরাচালান চক্রটি বেশ শক্তপোক্ত ও অপ্রতিরোধ্য বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
মূলত বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের কালাচান্দিয়ায় রাতের আঁধারে সীমান্ত দিয়ে গরুর পাল বাংলাদেশের ঢুকতে দেখা গিয়েছে।
সীমান্ত ডিঙ্গিয়ে কিছুদূর এগোতে প্রস্তুত ট্রাক। এসব ট্রাকে করে গরু তুলে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে দেশের নানা প্রান্তে।
শুধু বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি নয় কোরবানীর ঈদ সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন সীমান্তে চোরাই পথে গরু আনছে বড় একটি চক্র। এতে সরকার হারাচ্ছে বিপুল রাজস্ব।
কোরবানির সময় ভারত মিয়ানমার থেকে গরু আসবে না, সরকারের এমন ঘোষণায় আশায় বুক বেঁধেছিলেন খামারিরা। এখন সীমান্ত দিয়ে দেদারসে গরু ঢোকায় লোকসানের শঙ্কায় নিরাশ তারা।
যদিও প্রশাসনের দাবি ভারত ও মিয়ানমার থেকে গবাদি পশুর অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নেওয়া হয়েছে কঠোর ব্যবস্থা।
এদিকে গরু পাচারের কারণে সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন খামারের পশুর শরীরে নানা রোগ ছড়িয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ খামারিদের।
এসব পশুর কোন পরীক্ষা নিরীক্ষা না হওয়ায় এতে দেশের প্রাণিসম্পদ খাতে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হতে পারে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।