রাত ৩টায় আংশিক বেতন পেলেন পোশাক শ্রমিকেরা

জুমবাংলা ডেস্ক : বকেয়া বেতনের দাবিতে গাজীপুরের স্টাইল ক্রাফট লিমিটেড কারখানা শ্রমিকেরা গত সপ্তাহ থেকে বিক্ষোভ করছিলেন। অবশেষে স্টাইল ক্রাফটসহ তিনটি কারখানার শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে ওই তিনটি কারখানার শ্রমিকদের আংশিক বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। গাজীপুর জেলা প্রশাসন ও পুলিশের চাপে এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় অংশিক বেতন পরিশোধ করতে বাধ্য হয় কারখানা কর্তৃপক্ষ।

গাজীপুর শিল্প পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর জেলায় পোশাক শিল্পসহ প্রায় ২ হাজার কারখানা রয়েছে। অধিকাংশ কারখানা বেতন পরিশোধ করলেও গাজীপুর শিল্প পুলিশের হিসাবে মঙ্গলবার পর্যন্ত ২১টি কারখানার শ্রমিকরা বেতন পাননি।এরমধ্যে কোনোটিতে বেতন দিলে বোনাস দেয়নি আবার বোনাস দিলে বেতন দেয়নি।

গাজীপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের লক্ষীপুরা এলাকার স্টাইল ক্রাফট লিমিটেড কারখানায় প্রায় ৪ হাজার শ্রমিক রয়েছে। কারখানার শ্রমিকরা দীর্ঘদিন ধরে সময় মতো বেতন ও বোনাস পাচ্ছিলেন না। ন্যায্য বেতন বোনাসের দাবিতে শ্রমিকেরা আন্দোলন করে আসছিলেন।

শ্রমিকদের অনড় অবস্থানের এবং ঈদের কথা বিবেচনা করে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়রের সহযোগিতায় গত সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে কারখানা চার হাজার ৩০০ শ্রমিকদের মাঝে জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়। এছাড়া জেলা প্রশাসন ও পুলিশের চাপে পড়ে বড়বাড়ি এলাকার ন্যাশনাল কেমিক্যাল ও গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর এলাকার ফার সিরামিক্স কারখানার শ্রমিকদেরও বেতন পরিশোধ করা হয়।

স্টাইল ক্রাফট কারখানার শ্রমিক নাঈম জানান, ‘রাত তিনটায় আমরা ৫ হাজার করে টাকা পেয়েছি। রাতে আমরা আন্দোলন করছিলাম হঠাৎ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফ্যাক্টরিতে এলে আমরা তার সহযোগিতায় টাকা পেয়েছি। আমরা শ্রমিকেরা বেতন বোনাস সহ ১৫ হাজার পাওয়ার কথা, সেখানে মাত্র ৫ হাজার টাকা পেয়েছি। কোম্পানির কাছে আরও ১০ হাজার পাওনা রয়েছে। তবে আমাদের থেকে স্টাফদের বেশি সমস্যা। তাদের ৫/৬ মাসের বেতন বাকি। কিন্তু এখন এই ঈদের সময়ে পেয়েছে মাত্র ৫ হাজার। এনিয়েই ঈদ করতে হবে!’

গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, সোমবার রাতে স্টাইল ক্রাফট, ন্যাশনাল কেমিক্যাল ও একটি সিরামিক্স কারখানার শ্রমিকদের মাঝে বেতন দেওয়া হয়েছে।