রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উভয় প্রশাসনের আমলে ঘটে যাওয়া দুর্নীতির তদন্ত চান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষকরা। তারা বলেন, যেকোন দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার, তা যেকোন প্রশাসনের আমলে ঘটুক না কেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী শিক্ষক সমাজের এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করা হয়।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহবায়ক অধ্যাপক ড. এম মজিবুর রহমান বলেন, সমাজের যেকোনো অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদ সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছ থেকেই মানুষ প্রত্যাশা করে। তবে কয়েকজন শিক্ষক কেবলমাত্র বর্তমান প্রশাসনের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে কথা বলছেন। তবে তারা উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মিজানউদ্দিনের আমলে সংঘটিত বড় আলোচিত বিষয় ১০ কোটি টাকার অতিথি নিবাস দুর্নীতির ঘটনা, শহীদ বুদ্ধিজীবি স্মৃতিফলক নির্মাণে আর্থিক অনিয়ম, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের অনিয়ম এড়িয়ে যাচ্ছেন।
শিক্ষকরা বলেন, অধ্যাপক ড. সুলতান উল ইসলাম ও অধ্যাপক ড. সফিকুন্নবী সামাদির নেতৃত্বে বর্তমান প্রশাসনের দুর্নীতির কথা বলে নানা কুটকৌশলের আশ্রয় গ্রহণ করছেন। তাদের বেশিরভাগ শিক্ষকের বিরুদ্ধেই একাডেমিক দুর্নীতি ও অসদাচরনের অভিযোগ তদন্তাধীন আছে। এদিকে তাদের কর্মকা- স্বাধীনতাবিরোধী শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ অতি উৎসাহী হয়ে বর্তমান প্রশাসনবিরোধী নানাবিধ কর্মকাণ্ডে পাঁয়তারা করছে বলেও দাবি করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক আবু বকর, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. চিত্তরঞ্জন মিশ্র, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এমাজ উদ্দীন, লাইব্রেরী প্রশাসক অধ্যাপক সুভাষ চন্দ্র শীল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সাবেক প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আশরাফুজ্জামান, ভুতত্ত ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার তাপু, অধ্যাপক ইসমাইল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।