আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়ার তেলের দাম প্রতি ব্যারেলে অর্ধেক কমানোর দাবি করেছেন এস্তোনিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী উরমাস রেইনসালু। এছাড়া রাশিয়া থেকে রফতানি করা তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) বিরুদ্ধে একই ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ব্লুমবার্গের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে রাশিয়ান সংবাদমাধ্যম আরটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নকে রাশিয়ার তেলের দাম প্রতি ব্যারেলে ৩০ ডলার নির্ধারণ করতে ও এলএনজি রফতানি বন্ধে একই ব্যবস্থা নিতে দাবি জানিয়েছেন এস্তোনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ বিষয়ে উরমাস রেইনসালু বলেন, ‘গত বছরের ৫ ডিসেম্বর রাশিয়া থেকে সামুদ্রিক তেলের দাম ৬০ ডলার নির্ধারণ করে দেয় ইইউ। এছাড়া নির্ধারিত দামে পেট্রোলিয়াম পণ্য বিক্রি না করলে রাশিয়ান কার্গোগুলো পরিচালনা না করতে শিপিং, বীমা এবং পুনঃবীমা কোম্পানিগুলোর ওপর নির্দেশনা দেয় পশ্চিমারা। যা কার্যকর করা হয় চলতি মাসের ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে।’
তবে এরপরও রাশিয়া তেল সরবরাহ করে বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তেলের দাম প্রতি ব্যারেলে অর্ধেকে নামিয়ে আনা উচিত।’
রাশিয়ান অর্থমন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুয়ায়ী, চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ইউরাল অপরিশোধিত তেলের গড় দাম ছিল ব্যারেল প্রতি ৪৬ দশমিক ৮২ ডলার।
তবে এর মধ্যেই মস্কো থেকে ইউরোপে তেলের চালান কমেছে দুই-তৃতীয়াংশ। একই সময়ে ফ্রান্স, বেলজিয়াম ও স্পেন ক্রেতাদের সঙ্গে এলএনজির রফতানি বেড়েছে ইইউর। এ পরিস্থিতিতে এস্তোনিয়া আলাদা করে রাশিয়ান এলএনজির দাম নির্ধারণ করতে বদ্ধপরিকর।
এদিকে ব্রাসেলস ব্লকের সদস্যদের কাছে রাশিয়ান তেলের দামের সর্বোচ্চ সীমা সংশোধন করতে ও ভবিষ্যৎ মূল্য নির্ধারণে বাজারের গড় হারের চেয়ে ৫ শতাংশ কম রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এদিকে রাশিয়ায় এলএনজি উৎপাদন গত বছর ৮ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন। দেশটির পরিসংখ্যান পরিষেবা সংস্থা রোসস্ট্যাটের চলতি মাসের তথ্য অনুযায়ী, শুধুমাত্র সাখালিন-২ প্ল্যান্টে উৎপাদিত হয়েছে ১১ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন জ্বালানি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।