রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশনের ২২তম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

জুমবাংলা ডেস্ক : সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের মাল্টিপারপাস হলে রোববার বাংলাদেশ জাতীয় কর্তৃপক্ষ, রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশনের (বিএনএসিডব্লিউসি) এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিএনএসিডব্লিউসি’র চেয়ারম্যান ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের নতুন দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম সভায় সভাপতিত্ব করেন।

আইএসপিআর জানিয়েছে, সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা এবং বাহিনী ও বিএনএসিডব্লিউসি’র সদস্যসহ ৪৩ জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। সভায় বাংলাদেশে রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশন সংক্রান্ত বিধিবিধান কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২১তম সাধারণ সভার সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।

সভায় বাংলাদেশের সার্বিক রাসায়নিক নিরাপত্তা সুসংহতকরণ ও রাসায়নিক দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয় এবং বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

দেশে তফসিলভুক্ত রাসায়নিক দ্রব্য সংক্রান্ত কার্যক্রম যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে বিএনএসিডব্লিউসি’র সাথে নিবন্ধনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়।

তফসিলভুক্ত রাসায়নিক দ্রব্যসহ অন্যান্য সংবেদনশীল রাসায়নিক দ্রব্যের পরিবহনকালীন নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সভায় গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

সম্প্রতি দ্বিতীয় বারের মত বিএনএসিডব্লিউসি’র বিশেষজ্ঞ পরিদর্শন দল মোংলা বন্দর পরিদর্শন করে ও বন্দরের রাসায়নিক নিরাপত্তার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের করণীয় বিষয়ে সভাকে অবহিত করা হয়।

দেশের সকল বন্দরে রাসায়নিক দ্রব্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা সুসংহত করার ব্যাপারে বিএনএসিডব্লিউসি’র চেয়ারম্যান বিশেষ দিক নির্দেশনা দেন।

এছাড়াও চেয়ারম্যান রাসায়নিক দুর্যোগ/দুর্ঘটনায় হতাহতদের চিকিৎসার জন্য দেশের গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালগুলো প্রস্তুতকরণ এবং চিকিৎসক ও চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য বিশেষায়িত প্রশিক্ষণের বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন।

সভায় জানানো হয় বাংলাদেশে কেমিক্যাল ওয়ারফেয়ার এজেন্ট সংক্রান্ত দুর্ঘটনায় সাড়াদানের জন্য বাহিনীগুলোর গঠিত কেমিক্যাল ডিজাস্টার রেসপন্স টিমের (সিডিআরটি) সক্ষমতা বৃদ্ধির কাজ চলমান রয়েছে।

বিএনএসিডব্লিউসি’র চেয়ারম্যান বাংলাদেশে তফসিলভুক্ত রাসায়নিক দ্রব্যসহ দেশের সার্বিক রাসায়নিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সবাইকে একযোগে কাজ করার জন্য আহবান জানান।

সবুজ ও জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় বহুমুখী প্রচেষ্টা জরুরি