জুমবাংলা ডেস্ক : রংপুরে এক প্রতিবন্ধী রিকশাচালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে পুলিশ কনস্টেবল হাসান আলীর বিরুদ্ধে। নাজমুল ইসলাম (৩০) নামে নিহত ওই প্রতিবন্ধীকে হত্যার অভিযোগে এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মুখে অভিযুক্ত হাসান আলী ও তার স্ত্রী সাথী বেগমকে আটক করা হয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় নগরীর আশরতপুর কোর্টপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লালমনিরহাটের মুস্তফি এলাকার শারীরিক প্রতিবন্ধী নাজমুল ইসলাম আশরতপুর ইদগাহপাড়ায় বাড়িভাড়া নিয়ে বসবাস করছিলেন। তার পায়ে সমস্যা থাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা ভাড়ায় নিয়ে চালাতেন। আর ওই রিকশাটি ছিল গাইবান্ধার বাসিন্দা রংপুর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত কনস্টেবল হাসান আলীর। তিনি আশরতপুর কোর্টপাড়ায় বাড়িভাড়া নিয়ে পরিবারসহ বসবাস করেন। মঙ্গলবার রাতে ওই রিকশা নিয়ে হাসান আলীর সঙ্গে নাজমুলের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে হাসান আলী রিকশাচালক নাজমুলকে বেধরক মারধর করেন। এক পর্যায়ে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে তার (হাসান আলীর) ভাড়াবাড়িতে নিয়ে যান কনস্টেবল হাসান আলী। বুধবার দুপুরে ওই বাড়িতে নাজমুলের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন এলাকাবাসী। খবর পেয়ে তাজহাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তাদেরকেও অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, নাজমুলকে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার প্রচারণা চালিয়েছে পুলিশ সদস্য হাসান আলী। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী রংপুর-কুড়িগ্রাম সড়কের পার্কের মোড় এলাকায় অবস্থান নিয়ে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সন্ধ্যা ৬টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের তাজহাট থানার ওসি আকতারুজ্জামান জানান, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। রাতে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল জানিয়ে তিনি বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ সদস্য হাসান আলী ও তার স্ত্রী সাথী বেগমকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।