জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রীর দায়ের করা ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার মামলায় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের দুই নেতাকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
তারা হলেন, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম ও সংগঠনটির ঢাবি শাখার সহ-সভাপতি মো নাজমুল হুদা।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরীর আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এর আগে দুইদিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের দুজনকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী তাদের জামিন প্রার্থনা করেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন খারিজ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ১২ অক্টোবর দুই আসামির দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে গত ১১ অক্টোবর দুপুরে রাজধানীর ভিন্ন এলাকা থেকে এ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদেরকে কোতোয়ালি থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এক ছাত্রী গ্রেপ্তারকৃত ওই দুজনসহ ডাকসুর সাবেক সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরসহ ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের সাথে বাদীর পরিচয় থেকে ‘সুসম্পর্ক’ গড়ে ওঠে। গত ৩ জানুয়ারি বাদীকে হাসান আল মামুন তার লালবাগের নিয়ে ধর্ষণ করেন। এর পরদিন অসুস্থ হয়ে পড়েন বাদী। তখন মামলার আরেক আসামি নাজমুল হাসান সোহাগের সহায়তায় ১২ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।
এরপর থেকে হাসান আল মামুন আত্মগোপনে চলে যান। হাসান আল মামুনের সঙ্গে দেখা করিয়ে দেবে বলে গত ৯ ফেব্রুয়ারি সকালে নাজমুল হাসান সোহাগ বাদীকে নিয়ে কোতোয়ালি থানার ৫৬৩/৫৬৬ মিউনিসিপাল হকার্স মার্কেট সদরঘাট হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে নিয়া যান। সেখানে বাদীকে নাশতা করান। এরপর সোহাগ বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে লঞ্চে করে বাদীকে চাঁদপুর নিয়ে যান। চাঁদপুর পৌঁছানোর পর হাসান আল মামুনকে দেখতে না পেয়ে বাদীর সন্দেহ হয়। তখন সোহাগকে দ্রুত ঢাকায় ফেরার জন্য বলেন বাদী। সোহাগ বাদীকে নিয়ে বিকেলে লঞ্চের কেবিনে অবস্থান করেন। পরে বাদীকে ‘ধর্ষণ করেন’ তিনি। এ সময় বাদী কান্নাকাটি করলে সোহাগ তাকে নষ্ট মেয়ে বলে ভয়ভীতি দেখান এবং কান্না করে লাভ হবে না বলেন জানান।
গত ২৯ মে বাদীকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য বিভিন্ন নামে ভুয়া ফেইসবুক আইডি খুলে বিভিন্ন গ্রুপে মেয়েটির মোবাইল নম্বর ছড়িয়ে দেন সোহাগ। বাদী এ বিষয়ে ২০ জুন নুরুল হক নূরকে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানান। পরে নূর বাদীকে তার সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা করে দেবে বলে আশ্বস্ত করেন। গত ২৪ জুন নুরুল হক নূর বাদীকে নীলক্ষেতে দেখা করতে বলেন। সেখানে নূর তাকে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেন এবং বাড়াবাড়ি করলে তার লোকদের দিয়ে বাদীর নামে উল্টাপাল্টা পোস্ট করবে এবং বাদীকে ‘পতিতা’ বলে প্রচারের হুমকি দেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।