আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রক্ষণশীল রাষ্ট্র সৌদি আরবে প্রকাশ্যে নাচ-গান অনেকটা বিরল। এরমধ্যে রাজধানী রিয়াদে চার দিনব্যাপী এমডিএলবিস্ট সাউন্ডস্টর্ম ফেস্টিভ্যাল যেন সেই চিত্র পাল্টে দিলো। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে নাচ-গানের জমজমাট আসরে মেতে ওঠেন। এটি ছিল এ উৎসবের দ্বিতীয় আসর।
জাঁকজমকপূর্ণ এ অনুষ্ঠান বিরতীহীনভাবে ১৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার শুরু হয়ে রবিবার রাতে শেষ হয়। জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক তারকারা এ অনুষ্ঠানের মঞ্চ মাতিয়েছেন। রিয়াদের মরুভূমিতে নেচে-গেয়ে তাদের সঙ্গ দিয়েছেন নারী-পুরুষ সবাই।
জাঁকজমকপূর্ণ এ উৎসবে পূর্ণ সমর্থন, সহযোগিতা, পৃষ্ঠপোষকতা ছিল সৌদি রাজপরিবারের। বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে জনপ্রিয় সব তারকা সংগীত উৎসবে যোগ দেন। টিয়েস্তো, মার্টিন গ্যারিক্স, ডেভিড গুয়েটার মতো তারকারাও ছিলেন। এ ছাড়া বিশ্বের জনপ্রিয় সব ডিজে (ডিস্ক জকি) উৎসবের মঞ্চ মাতিয়েছেন।
ডিজে ডেভিট গুয়েটা বলেন, প্রথমবারের মতো (সৌদি আরবে) সবাই একসঙ্গে নাচার সুযোগ পেয়েছিল। এ ছাড়া সৌদি আরবের জন্য এটা ঐতিহাসিক একটা ঘটনা। এমন ঐতিহাসিক একটি মুহূর্তের অংশ হতে পেরে আমি আনন্দিত।
অনুষ্ঠানের শেষে সোমবার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এ উৎসবে প্রায় সাত লাখেরও বেশি মানুষের আগমন ঘটে।
সৌদির জেনারেল এন্টারটেইনমেন্ট অথরিটির প্রধান তুর্কি আল শেখ বলেছেন, চার দিনে সাত লাখ ৩২ হাজার মানুষ এই ইভেন্টে এসেছিলেন। এটি বিশ্বের বৃহত্তম সঙ্গীত উৎসবগুলির মধ্যে একটি।
২০১৯ সালে শুরু হওয়ার পর থেকে উৎসবটি প্রচুর ভিড়ের সাক্ষী হয়েছে। উৎসবে যোগদানকারী এক সৌদি নারী বলেন, ‘আমরা রিয়াদে-এর আগে এমন কিছু দেখিনি – ভিড়, গান, ভিআইপি রুম, রাজ্যের জন্য অপ্রচলিত পোশাক।’
২০১৭ সালে সৌদি আরবের ডি ফ্যাক্টো শাসক, ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের উত্থান বেশ কয়েকটি সংস্কারের সূচনা করেছে। এই উৎসব তার মধ্যে একটি।
রক্ষণশীল উপসাগরীয় রাজ্যে একটি সামাজিক পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে মহিলাদের গাড়ি চালানোর উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া এবং মিশ্র-লিঙ্গের কনসার্ট এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয়া।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পর্যটন, বিনোদন এবং ক্রীড়া খাতে প্রচুর বিনিয়োগ করছে সৌদি আরব।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন সৌদি তরুণী বলেন, আমরা সঙ্গীত, বিনোদন, চলচ্চিত্র, হাসি এবং আউটিংয়ের জন্য তৃষ্ণার্ত। আমরা যেন আমাদের দেশকে নতুন করে আবিষ্কার করছি। এটি আমাদেরকে খুব আনন্দিত করছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।