আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডায় স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিধি মেনে চলতে ব্যর্থ হওয়ায় চার হাজারের বেশি গির্জা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগ ছোট পেন্টেকস্টাল গির্জা। তবে কয়েকটি মসজিদও রয়েছে। খবর বিবিসির।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী জিন ক্লদ মুসাবিমানা রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, মানুষকে প্রার্থনা করতে বাধা দেয়ার জন্য নয় বরং তাদের নিরাপত্তা ও শান্তি নিশ্চিত করার জন্য এটি করা হচ্ছে।
২০১৮ সালে দেশের সব গির্জায় শৃঙ্খলা ফেরাতে একটি আইন পাস করে রুয়ান্ডা সরকার। এই আইনের আওতায় সব গির্জা সংগঠিত উপায়ে ও নিরাপদ পরিবেশে পরিচালনা করতে হবে। মাইক বাজিয়ে জনগণকে ধর্মীয় বয়ান দেয়া বেআইনি ঘোষণা করা হয়। তাছাড়া গির্জা খোলার আগে সব পাদ্রীর ধর্মতাত্ত্বিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা হয়। এই আইনটি যখন প্রথম জারি করা হয় তখনই প্রায় ৭০০টি গির্জা প্রাথমিকভাবে বন্ধ করা হয়েছিল।
সেই সময়ে রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামে বলেছিলেন, তাদের দেশে এত বেশি গির্জার দরকার নেই। এত বেশি গির্জা উন্নত দেশে থাকতে পারে।
কিছুদিন আগেই ৯৯ শতাংশ ভোট পেয়ে চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আসেন পল। তিনি বেশ শক্ত হাতে এতদিন ধরে দেশ শাসন করে আসছেন। সমালোচকরা বলছেন, তাদের দেশে বাক স্বাধীনতা অনেক কম।
এবার গির্জাবিরোধী যে অভিযান চলছে তা পরিচালনা করছে স্থানীয় নগর কর্তৃপক্ষ। সংস্থাটি রুয়ান্ডা গভর্নেন্স বোর্ডের (আরজিবি) সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করে।
কর্তৃপক্ষের দাবি, নিয়ম-কানুনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পাঁচ বছর সময় পেয়েছে গির্জাগুলো। তাই তারা এখন হার্ডলাইনে যাচ্ছে।
আরজিবি প্রধান উস্তা কাইতেসি নিউ টাইমস নিউজ ওয়েবসাইটকে বলেছেন, সরকার গির্জার বিস্তারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। আমরা এখনো জরাজীর্ণ অবকাঠামো ও এদের অস্বাস্থ্যকর অবস্থা দেখতে পাচ্ছি।
রুয়ান্ডার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ খ্রিস্টান। তবে অনেকেই তাদের দেশের সনাতন রীতি-নীতিও অনুসরণ করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।