কুব’ রুশ ড্রোন নির্মাণকারী কোম্পানি ‘জালা অ্যারো গ্রুপ’ কর্তৃক নির্মিত একটি কামিকাজি ড্রোন। রুশ–ইউক্রেনীয় যুদ্ধ শুরুর আগে রুশরা সিরিয়ার ইদলিবে অবস্থানরত মিলিট্যান্টদের বিরুদ্ধে কুব ড্রোনটি সাফল্যের সঙ্গে ব্যবহার করেছিল।
ইউক্রেনীয়দের তুলনায় রুশরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কম সক্রিয় এবং তারা ইউক্রেনীয় সামরিক সরঞ্জামের বিরুদ্ধে পরিচালিত তাদের আক্রমণগুলোর ভিডিও ফুটেজ খুব কমই প্রকাশ করে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অনুমতি ব্যতিরেকে যুদ্ধক্ষেত্রের ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করার বিষয়ে রুশ সৈন্যদেরকে সতর্ক করেছে এবং এর ফলে রুশদের পক্ষ থেকে যুদ্ধের খুব কম সংখ্যক ভিডিও ফুটেজ প্রকাশিত হয়।
‘লান্তসেৎ–১’ ও ‘লান্তসেৎ–৩’ রুশ ড্রোন নির্মাণকারী কোম্পানি ‘জালা অ্যারো গ্রুপ’ কর্তৃক নির্মিত কামিকাজি ড্রোন। অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্রতর লান্তসেৎ–১ ড্রোনটি ১ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক বহন করতে এবং অপেক্ষাকৃত বৃহত্তর লান্তসেৎ–৩ ড্রোনটি ৩ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক বহন করতে সক্ষম।
ড্রোনগুলোর পাল্লা পরিস্থিতি মোতাবেক ৪০ থেকে ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। এগুলো মূলত একই কোম্পানি কর্তৃক নির্মিত ‘কুব’ কামিকাজি ড্রোনেরই উন্নততর সংস্করণ।
এই যুদ্ধে লান্তসেৎ ড্রোন রুশদের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে প্রতীয়মান হয় যে, যুদ্ধ শুরুর আগে রুশরা উক্ত ড্রোনগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে তৈরি করেনি।
এই যুদ্ধে লান্তসেৎ ড্রোন রুশদের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে প্রতীয়মান হয় যে, যুদ্ধ শুরুর আগে রুশরা উক্ত ড্রোনগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে তৈরি করেনি।
‘শাহেদ–১৩৬’ ইরানি বিমান নির্মাণকারী কোম্পানি ‘ইরান এয়ারক্রাফট ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন’ কর্তৃক নির্মিত একটি কামিকাজি ড্রোন। ড্রোনটির ভর ২০০ কিলোগ্রাম, দৈর্ঘ্য ৩.৫ মিটার এবং পাল্লা ১,৮০০ থেকে ২,৫০০ কিলোমিটার।
রুশরা নিজস্ব কামিকাজি ড্রোন উৎপাদনের মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং ইরানের কাছ থেকে ড্রোন সংগ্রহ করতে শুরু করে। ইরান রাশিয়াকে বিভিন্ন মডেলের ড্রোন (মোহাজের–৬, শাহেদ–১২৯, শাহেদ–১৩৬ প্রভৃতি) সরবরাহ করেছে, কিন্তু এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রচারণা লাভ করেছে শাহেদ–১৩৬ ড্রোন।
ইউক্রেনীয়দের জন্য শাহেদ–১৩৬/গেরান–২ ড্রোনগুলোর আক্রমণ প্রতিহত করা বেশ কঠিন হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। সম্প্রতি একটি শাহেদ–১৩৬/গেরান–২ ড্রোনকে ভূপাতিত করতে গিয়ে একটি ইউক্রেনীয় মিগ–২৯ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে এবং এটি কোনো ড্রোন কর্তৃক কোনো যুদ্ধবিমান ধ্বংসের প্রথম ঘটনা।
ইউক্রেনীয়দের জন্য শাহেদ–১৩৬/গেরান–২ ড্রোনগুলোর আক্রমণ প্রতিহত করা বেশ কঠিন হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। সম্প্রতি একটি শাহেদ–১৩৬/গেরান–২ ড্রোনকে ভূপাতিত করতে গিয়ে একটি ইউক্রেনীয় মিগ–২৯ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে এবং এটি কোনো ড্রোন কর্তৃক কোনো যুদ্ধবিমান ধ্বংসের প্রথম ঘটনা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।