জুমবাংলা ডেস্ক : প্রতি বছর ঈদ উৎসবে মা-বাবার সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে আসত রুশামণি। হৈ-হুল্লোড় করে ঈদ উদযাপন শেষে আবার ফিরত ঢাকায়। এবার আর রুশা ঢাকায় ফিরবে না। ঈদের আগে ডেঙ্গু তাকে নিয়ে গেছে না ফেরার দেশে। রুশাদের বাড়িতে ঈদ আনন্দ পরিণত হয়েছে বিষাদে। মা-বাবাসহ স্বজনের কান্না দেখে চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না প্রতিবেশীরাও।
শনিবার সকালে বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে মা’রা যায় ১০ বছরের রুশামণি। ঢাকায় থাকতেই সে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। কিছুটা সুস্থ হলে মা-বাবা ও ভাইয়ের সঙ্গে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার জীবনদাশকাঠি গ্রামের বাড়িতে ঈদ উদযাপন করতে আসে রুশা। গত বৃহস্পতিবার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছার পর আবারও অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শেবাচিম হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তার মৃ’ত্যু হয়।
জীবনদাশকাঠি গ্রামের রুহুল আমিন হাওলাদারের দুই সন্তানের মধ্যে ছোট রুশা ঢাকার রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল। তার বড় ভাই অর্দ্র পড়ে পঞ্চম শ্রেণিতে। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঢাকায় থাকেন রুহুল আমিন।
রুশার মামা মেহেদি হাসান জসিম জানান, রাজাপুরে গ্রামের বাড়িতে আসার পর আবারও রুশার জ্বর ওঠে। বৃহস্পতিবার রাতে জ্বর বাড়লে শুক্রবার সকালে তাকে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে বরিশালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। শেবাচিম হাসপাতালে শয্যা সংকট থাকায় ভর্তি করা হয় বেসরকারি রাহাত আনোয়ার হাসপাতালে। অবস্থার আরও অবনতি হলে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে রুশাকে শেবাচিম হাসপাতালে আইসিইউতে নেওয়া হয়।
রুশার বাবা রুহুল আমিন হাওলাদার জানান, ঢাকায় কয়েক দিন আগে রুশার জ্বর এলে পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়ে। এর পর চিকিৎসায় কিছুটা সুস্থ হলে স্বজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে তিনি সপরিবারে গ্রামের বাড়ি এসেছিলেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে রুহুল বলেন, এখন তাকে ঢাকায় ফিরতে হবে মেয়েকে ছাড়াই।
শেবাচিমের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন জানান, শুক্রবার রাতে রুশাকে মুমূর্ষু অবস্থায় শেবাচিমে আনা হয়। আইসিইউতে রেখে তাকে বাঁচানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন চিকিৎসকরা। সূত্র : সমকাল
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।