জুমবাংলা ডেস্ক : ব্যাংকগুলোর আমদানি দায় মেটাতে সহায়তা করতে এক দিনে রেকর্ড পরিমাণ ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত সোমবার (২৯ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারে ডলার বিক্রি করেছে ১৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার। এর আগে কোনো একক দিনে এত বেশি পরিমাণ ডলার বিক্রি করেনি ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এর ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও কমে ৩৯ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। গত বছরের আগস্টে রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। এরপর কমতে কমতে গত মাসে ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামে।
জানা গেছে, জুলাই এবং আগস্ট মাসে আমদানির জন্য এলসি খোলা কমলেও এখনও আগের আমদানি দায় নিষ্পত্তির জন্য কোনো কোনো ব্যাংকে ডলারের সংকট আছে। এ সংকট মেটাতে এবং টাকা-ডলার বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার বিক্রি অব্যাহত রেখেছে। বিশেষত সরকারের বিভিন্ন আমদানিতে সংকট হলে সে ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারে ডলার বিক্রি করেছে ৯৫ টাকা দরে। যদিও ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকদের জন্য ডলারের দর এর চেয়ে প্রায় ১০ টাকা বেশি। জানা গেছে, আমদানিকারকরা গতকাল ১০২ থেকে ১০৬ টাকা দরে ডলার কিনেছেন। আর রপ্তানি ও রেমিট্যান্সের বিপরীতে ব্যাংকগুলো দর দিয়েছে ১০০ থেকে ১০৪ টাকা। ব্যাংকের ডলার কেনা ও বেচার মধ্যে এক টাকার বেশি পার্থক্য যাতে না থাকে, সে বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মৌখিক নির্দেশনা রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক যে দরে ডলার বিক্রি করে, তার চেয়ে সামান্য বেশি নিয়ে এক ব্যাংক আরেক ব্যাংকের কাছে যাতে বিক্রি করে, সে বিষয়ে তদারকি রয়েছে। এ কারণে আন্তঃব্যাংকে এখন সাধারণত কোনো লেনদেন হয় না।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গতকালসহ চলতি অর্থবছরের প্রায় দু’মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারে ২২৯ কোটি ডলার বিক্রি করেছে। আর গত অর্থবছরে বিক্রি করে ৭৬২ কোটি ডলার। বৈদেশিক মুদ্রার সংকট কাটাতে ডলার বিক্রির বিপরীতে বাজার থেকে প্রচুর টাকা উঠে আসছে।
বিশ্ববাজারে দাম ২০ বছরে সর্বোচ্চ:
বিশ্ববাজারে ইউএস ডলারের দাম গত ২০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। মূল্যস্ফীতি কমাতে যুক্তরাষ্ট্র সুদহার বাড়ানোর ইঙ্গিত দেওয়াই এর প্রধান কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। গতকাল সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কয়েক দিন ধরে ইউএস ডলার ইনডেক্স (ইউএসডিএক্স) বাড়তে বাড়তে পৌঁছেছে ১০৯ দশমিক ৪৮ পয়েন্টে, যা গত দুই দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০০২ সালে এত বেশি পর্যায়ে পৌঁছেছিল সূচকটি।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বেশি হয় এমন ছয়টি দেশ ও অঞ্চলের মুদ্রার সঙ্গে ইউএস ডলারের গড় বিনিময় হারের ভিত্তিতে ইউএসডিএক্স হিসাব করা হয়। বর্তমানে যে মুদ্রাগুলোর ভিত্তিতে এই সূচকটির হিসাব করা হচ্ছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ইউরো, সুইস ফ্রাঙ্ক, জাপানি ইয়েন, কানাডিয়ান ডলার, ব্রিটিশ পাউন্ড ও সুইডিশ ক্রোনা। ১৯৭৩ সালে চালু হয় সূচকটি। এর মাধ্যমে বিশ্ববাজারে ডলারের দর কেমন তা বোঝা যায়।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের প্রধান জেরোমি পাওয়েল জানিয়েছেন, মূল্যস্ফীতি কমাতে দীর্ঘমেয়াদে সুদহার বাড়ানোর পদক্ষেপ নিতে পারেন তাঁরা। তাঁর এই ঘোষণার পর বিশ্ববাজারের লেনদেনে ডলারের বিপরীতে বিভিন্ন মুদ্রার দরপতন হয়েছে। সূত্র : সমকাল
“এক রাতের জন্য কত টাকা নেন?” প্রশ্নের যে জবাব দিলেন স্বস্তিকা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।