২০২৪-২৫ অর্থবছরে রেমিট্যান্স প্রবাহে নতুন রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। সদ্যসমাপ্ত অর্থবছরে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ৩০ হাজার ৩২ কোটি মার্কিন ডলার— যা গত অর্থবছরের তুলনায় ২৬.৮ শতাংশ বেশি।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতিপত্র অনুযায়ী, এই প্রবাহ বৃদ্ধি হয়েছে একাধিক সরকারি উদ্যোগের ফলে— যার মধ্যে রয়েছে রেমিট্যান্সে ২.৫% নগদ প্রণোদনা, নিয়ম-কানুন সহজীকরণ এবং প্রবাসীদের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রদান। নীতিপত্রে উল্লেখ করা হয়, শুধু মার্চ ২০২৫ মাসেই এসেছে ৩২৯ কোটি ডলার— যা বাংলাদেশের ইতিহাসে একক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রবাহ।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চালু করা হয়েছে ‘প্রবাসী লাউঞ্জ’, যেখানে রয়েছে আরামদায়ক বসার ব্যবস্থা, ভর্তুকিযুক্ত খাবার, নামাজের স্থান ও শিশু কেয়ার রুম। ক্রলিং পেগ এক্সচেঞ্জ রেট চালু হওয়ায় বৈধ ও অবৈধ বাজার মূল্যে ব্যবধান কমে গেছে, ফলে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানো বেড়েছে। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও বিএমইটি বিদেশে দক্ষ জনশক্তি পাঠাতে কাজ করছে।
কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেশন নিশ্চিত করছে বাজারচাহিদা অনুযায়ী প্রশিক্ষণ। মধ্যপ্রাচ্যে বসবাসরত প্রবাসী জিয়ানুল ইসলাম বলেন, “সরকারের উদ্যোগে প্রক্রিয়াটি সহজ হয়েছে। এখন আমরা হুন্ডির বদলে ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা পাঠাতে উৎসাহিত হচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, “আগের হুন্ডি সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য নেই বলেই অনেকটাই বাধ্য হয়ে সবাই সঠিক পথ বেছে নিচ্ছে।” বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রবাসীদের সহজ, নিরাপদ এবং সম্মানজনক প্রক্রিয়ায় বৈধ পথে অর্থ পাঠাতে উৎসাহিত করায় এই সাফল্য এসেছে। এতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালী হচ্ছে এবং হুন্ডির বাজার সংকুচিত হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।