রোনালদোর বিরুদ্ধে নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ

ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে পর্তুগাল। কোয়ার্টারে ওঠার লড়াইয়ে স্লোভেনিয়াকে টাইব্রেকারে হারিয়েছে তারা। এই ম্যাচেই নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে পর্তুগিজ অধিনায়ক ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর বিরুদ্ধে। এমনটাই দাবি করেছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ।

কোয়ার্টার ফাইনালে পেনাল্টি শুটআউটের সময় রোনালদোর শারীরিক অবস্থা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ফিটনেস ট্র্যাকার প্রতিষ্ঠান ‘হুপ।’ তাদের বানানো হুপ ৪.০ মডেলের স্মার্ট রিস্টব্যান্ড পরে খেলেছেন রোনালদো। আর তাতেই ফাঁস হয়ে যায় টাইব্রেকারের সময় রোনালদোর হৃদকম্পনের মাত্রা। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই তার বিরুদ্ধে ‘অ্যামবুশ মার্কেটিং’–এর অভিযোগ উঠেছে।

হুপ জানিয়েছে, টাইব্রেকারে পর্তুগালের হয়ে প্রথম শটটি নেওয়ার আগমুহূর্তে রোনালদোর হৃৎস্পন্দন ছিল ১০০ (বিপিএম) এর আশেপাশে।ম্যাচের অতিরিক্ত সময় শেষে রোনালদোর হৃৎস্পন্দন বেড়ে প্রতি মিনিটে ১৮০ (বিপিএম) ছাড়িয়ে যায়। টাইব্রেকারে বের্নার্দো সিলভার শটের সময়ও রোনালদোর হৃদকম্পন একই ছিল।

‘দ্য টেলিগ্রাফ’ আরও জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে ‘হুপ’ প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেছেন রোনালদো। গত মাসে হুপ–এর বৈশ্বিক দূত হন পর্তুগিজ তারকা। রোনালদোর হৃৎস্পন্দন নিয়ে নিজেদের ‘এক্স’ হ্যান্ডলে হুপ জানায়, টাইব্রেকারে পর্তুগালের হয়ে প্রথম পেনাল্টি শটটি নেওয়ার আগে ৩৯ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডের হৃৎস্পন্দন নেমে গিয়েছিল।

ইউরোর ম্যাচে বিভিন্ন তথ্য প্রকাশের দায়ে রোনালদো ও হুপ–এর বিরুদ্ধে ‘অ্যামবুশ মার্কেটিং’–এর অভিযোগ উঠেছে। বলে জানিয়েছে টেলিগ্রাফ। অ্যামবুশ মার্কেটিং একটি বিপণন কৌশল, যেখানে বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিষ্ঠান কোনো ইভেন্টে অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে নিজেদের পণ্যের প্রচার করে।

বিকালে পদ্মা সেতু প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক পরিসমাপ্তি ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী

উল্লেখ্য যে, হুপের সঙ্গে উয়েফার কোনো চুক্তি নেই। আয়োজকদের সঙ্গে চুক্তি না থাকা সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানটি ঠিকই কৌশলে ইউরোতে নিজেদের প্রচারণা করলো। এটি ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফার বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ সংশ্লিষ্ট নিয়ম লঙ্ঘন করে। তাতে ফেঁসে যাচ্ছেন রোনালদোও।