জুমবাংলা ডেস্ক : কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দফায় দফায় গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আরসা গ্রুপ ও মুন্না গ্রুপের মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতভর দফায় দফায় এ গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। লাঠি ও ছুরিকাঘাতে দুই গ্রুপের মাঝে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে বলে রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন।
কুতুপালং রেজিস্ট্রার্ড ক্যাম্পের চেয়ারম্যান হাফেজ জালাল আহমদ জানান, ক্যাম্প নিয়ন্ত্রণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরসা গ্রুপের নেতা মৌলভী আবু আনাস ও মো. রফিকের নেত্বতে মুন্না গ্রুপের মধ্যে গেলো বুধবার সন্ধ্যা থেকে রাত দুইটা পর্যন্ত দফায় দফায় গুলি বর্ষণ ও হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় সন্ত্রাসীদের হামলায় কুতুপালং ই-ব্লকের ১০/১৫ টি ঝুপড়ি ঘর ভাংচুর করে। কুতুপালং দুই নম্বর ক্যাম্পের হেড মাঝি সিরাজুল মোস্তফা বলেন, দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ছুরি ও লাঠির আঘাতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় দুইজনকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ও অন্যান্যদের কুতুপালং এনজিও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, গেলো বুধবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত দফায় দফায় গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ সময় রোহিঙ্গারা দিকবেদিক ছোটাছুটি করে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়। এরপর রাত সাড়ে ১২টায় কুতুপালং ক্যাম্পের খেলার মাঠ এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে।
কুতুপালং ক্যাম্প ইনচার্জ খলিলুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থল পৌঁছলে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এদিকে, গত সোমবার দুপুরে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা একটি সিএনজিসহ ড্রাইভারকে দিনদুপুরে অপহরণ করে চার লাখ টাকা দাবি করে। এ সময় সিএনজি অফিসে অবস্থানকারী সিএনজি সমিতির নেতা শাহজানকে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্থানীয় লোকজনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। রোহিঙ্গারা দিনদিন বেপরোয়া হয়ে উঠায় স্থানীয়রা ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে। এ ঘটনায় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে বলে সিএনজি সমিতির সভাপতি মুক্তার চৌধুরী জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ মঞ্জর মোরশেদ বলেন, ঘটনাটির ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।