আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে লকডাউনের নিয়ম-কানুন কিছুটা শিথিল করা হচ্ছে। তবে লকডাউন শিথিলের আওতায় পড়বে শুধুমাত্র গ্রীন জোনগুলো, যেগুলোতে কোভিড-১৯ রোগী মেলেনি। হটস্পট বা সংক্রমিত এলাকায় কোন ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। এই ছাড়ের ফলাফল দেখেই পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে, ৩রা মে লকডাউন পুরোপুরি তুলে নেয়া হবে কিনা।

চলতি মাসের ১৪ তারিখ প্রথম দফার লকডাউন শেষ হলেও, পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায়, করোনা প্রতিরোধে ভারতে দ্বিতীয় দফায় ৩রা মে পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। অবশ্য সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, পরিস্থিতি বুঝে ২০ শে এপ্রিল থেকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেয়া হবে।
এরই মধ্যে দেশটির অন্তত ১০ জেলায় আক্রান্তের হার কমেছে। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী তাই দেশটির অনেক এলাকায় সোমবার থেকে আংশিক শিথিল করা হচ্ছে লকডাউনের নিয়ম। কিন্তু কেন? সে প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন দ্বিতীয় দফায় মেয়াদ শেষের আগে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। তারা দেখতে চান, উল্লেখযোগ্য হারে করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ে কিনা। যদি বাড়ে, তবেই তৃতীয় মেয়াদে লকডাউনে প্রস্তুত হবে দেশটি।
গেল চার সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরেই ১৩০ কোটি মানুষের দেশটির অর্থনীতি স্তব্ধ। উপার্জন বন্ধে সব চেয়ে সমস্যায় গরিব শ্রমিক ও গ্রামীণ মানুষ। তাই গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সোমবার থেকে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নিয়ম মেনে কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দিচ্ছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।
লকডাউনে ছাড়ের আওতায় থাকছে, কৃষি ও মাছ ধরার কাজ। ইটভাটা, চটকল, কফি, রাবার বাগানে আংশিক শ্রমিক কাজ করতে পারবেন। এছাড়া বেসরকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, যেমন, ডিটিএইচ, ই-কমার্স কোম্পানির নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস বিক্রি করা যাবে। পাশাপাশি হোটেল, ক্যুরিয়র সার্ভিস, হোম স্টে ও লজ সীমিত আকারে খোলা রাখা যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



