লকডাউনে যানজট: সকাল ৯টা থেকে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত সকাল ৯টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত লকডাউনেও যানজটে পড়তে হয়েছে শত শত পণ্যবাহী পরিবহনসহ অন্যান্য জরুরি সেবার পরিবহনগুলোকে। বকেয়া বেতনের দাবিতে কাঁচপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বিক্ষোভ ও অবরোধ করেছে গার্মেন্ট শ্রমিকরা।

সিনহা অ্যান্ড ওপেক্স গ্রুপের শ্রমিকরা দুই মহাসড়কের রাস্তার মাঝে ট্রাক, পিকআপ ভ্যান ও বিদ্যুতের খুঁটি ফেলে সড়ক অবরোধ করে। এ সময় শ্রমিকরা লাঠি হাতে তাদের দাবি আদায়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।

একাধিক শ্রমিক জানায়, লকডাউনে জীবন-জীবিকা নিয়ে তারা দুর্বিষহ যন্ত্রণায় পড়েছেন। তিন মাসের বেতন না পেয়ে ঘরভাড়া, খানাপিনাসহ নানামুখী সমস্যায় পড়েছেন শ্রমিকরা। লকডাউনেও কোনো প্রকার খাদ্যসামগ্রী পাননি তারা।

সালমা আক্তার নামের এক শ্রমিক জানান, এর আগেও বকেয়া বেতনের দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন তারা। পুলিশের আশ্বাসে সড়ক ছেড়েছেন, তবে কোনো লাভ হয়নি। মালিকপক্ষ আশ্বাস দিয়েও বেতন দেয়নি তাদের। এই অবস্থায় বাড়িভাড়া, দোকানের বাকি, সংসার খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাজার হাজার শ্রমিককে। আমাদের দেখার মতো কেউ নেই। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানান এই শ্রমিক।

শিমড়াইল মোড় এলাকায় ট্রাকচালক শুক্কুর আলী জানায়, সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত গাড়ির চাকা একটুও ঘোরাতে পারেননি। তার গাড়িতে কাঁচামাল থাকায় কখন সড়ক সচল হবে এ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। তিনি বলেন, আজকের মধ্যে যদি গন্তব্যে পৌঁছতে না পারি তাহলে বেশির ভাগ মাল নষ্ট হয়ে যাবে।

সাইনবোর্ড এলাকায় কাভার্ডভ্যানচালক মতিউর রহমান জানান, শুনেছি কাঁচপুর এলাকায় শ্রমিকরা রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে। জানি না কখন রাস্তা চালু হবে। লকডাউনের মধ্যেও যানজটে পড়ে অনেকটা অসহায় হয়ে পড়েছি।

কাচঁপুর হাইওয়ে থানার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) মেহেদী হাসান জানান, সকালে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকরা মহাসড়কে বিক্ষোভ করেন। মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমাধানের চেষ্টা চলছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুস্তাইন বিল্লাহ জানান, বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়কে নেমে এসেছে শ্রমিকরা মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে শ্রমিকদের পাওনা টাকা কবে পরিশোধ করা হবে জানিয়ে দেওয়া হবে।