লকডাউনে হঠাৎ উধাও গর্ভনিরোধক, বাড়ছে গর্ভধারণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বব্যাপী চলা লকডাউনে বাজার থেকে কার্যত উধাও অত্যাধুনিক মানের গর্ভনিরোধক বা কন্ট্রাসেপ্টিভ। এ পরিস্থিতিতে অনিচ্ছাকৃত গর্ভধারণের হার বেড়েই চলেছে। জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল ইউএনএফপিএ এবং তার সহযোগী সংস্থাগুলোর এক সমীক্ষা এ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

ইউএনএফপিএ-র নির্বাহী পরিচালক নাটালিয়া কানেম মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) বলেন, সাম্প্রতিক সমীক্ষা জানাচ্ছে, কোভিড-১৯ ভাইরাস সংক্রমণের ধ্বংসাত্মক প্রভাব পড়তে চলেছে নারী ও তরুণীদের ওপর। এই মহামারিতে লিঙ্গ বৈষম্য আরও বাড়াচ্ছে।

আনন্দবাজার পত্রিকা এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

বর্তমানে অল্প ও মধ্য আয়ের দেশগুলোর অন্তত ৪ কোটি ৭০ লাখ নারী অত্যাধুনিক গর্ভনিরোধক ব্যবহার করতে পারছেন না। যার পরিণতিতে আর কয়েক মাসের মধ্যে ওই দেশগুলোতে অনিচ্ছাকৃত মাতৃত্বের শিকার হতে হবে আরও অন্তত ৭০ লাখ নারীকে।

লকডাউনের আগে পর্যন্ত ১১৪টি দেশের প্রায় ৪৫ কোটি নারী নিয়মিতভাবে গর্ভনিরোধক ব্যবহার করতেন। সমীক্ষাটি চালাতে ইউএনএফপিএ-কে সহযোগিতা করেছে আমেরিকার জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়, অ্যাভেনির হেল্‌থ এবং অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়।

সেখানে আরও বলা হয়েছে, অল্প ও মধ্য আয়ের এ দেশগুলোতে পারিবারিক সহিংসতার ঘটনাও অনেক গুণ বাড়তে চলেছে।

নারীরা নিজেদের ও পরিবারকে সুরক্ষিত রাখার ক্ষেত্রে বিপদের মুখে পড়ে গেছেন। ৬ মাসের লকডাউন আরও ৩ কোটি ১০ লাখ পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা বাড়াবে বিশ্বের ওই সব দেশে। যা প্রতি তিন মাসে বাড়বে অন্তত দেড় কোটি করে।

এ লকডাউন নারীর ‘জেনিটাল মিউটিলেশন’ (অর্থাৎ অস্ত্রোপচার বা অন্য কোনও কারণে নারীদের যৌনাঙ্গের হানি) ও বাল্যবিবাহ রোখার কাজের গতিও অনেকটাই কমিয়ে দেবে। তার ফলে সামনের দশকে আরও অন্তত ২০ লাখ নারীর যৌনাঙ্গ হানির আশঙ্কা রয়েছে। ১০ বছরে বাল্যবিবাহের ঘটনা বাড়বে আরও অন্তত ১ কোটি ৩০ লাখ।