Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home লকডাউন তুলে নেওয়ার ৬ শর্ত কি পূরণ করতে পারছে বাংলাদেশ
    Coronavirus (করোনাভাইরাস) জাতীয়

    লকডাউন তুলে নেওয়ার ৬ শর্ত কি পূরণ করতে পারছে বাংলাদেশ

    জুমবাংলা নিউজ ডেস্কApril 22, 202010 Mins Read
    Advertisement

    প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বাংলাদেশে আকাশ, নৌ, সড়ক ও রেলসহ সকল প্রকার যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।

    গত ২৬ মার্চ থেকে অঘোষিত লকডাউন চলছে, যা আগামী ২৫ এপ্রিল শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে লকডাউন তুলে নেওয়ার ক্ষেত্রে যে ছয়টি শর্ত পূরণের তাগিদ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও), তা কি পূরণ করতে পারছে বাংলাদেশ? এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন করেছে বিবিসি বাংলা।

    করোনা মোকাবিলায় শুরুতে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন করা হলেও পরবর্তী সময়ে তা কয়েক দফায় বাড়ানো হয়। এই অঘোষিত লকডাউন ২৫ এপ্রিল শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা আরও বাড়ানোর সম্ভাবনাও রয়েছে।

    বিশ্ব খাদ্য সংস্থা সতর্ক করে দিয়েছে, অর্থনীতি এভাবে চলতে থাকলে বিশ্বের অন্তত তিন কোটি মানুষ অনাহারে মারা যেতে পারে। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল পূর্বাভাস দিয়েছে, করোনাভাইরাসের কারণে অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়ায় বিশ্বের প্রবৃদ্ধি তিন শতাংশ হারিয়ে যেতে পারে।

    যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লকডাউন তুলে নিতে চাইছেন। স্পেন, জার্মানি, দক্ষিণ কোরিয়াসহ কিছু দেশ বেশ কিছু কড়াকড়ি এর মধ্যেই শিথিল করেছে।

    বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি বলেছেন, ‘সামনে রোজা, আমরা সবকিছু একবারে বন্ধ করে রাখতে পারবো না। আমাদের কিছু কিছু জায়গা আস্তে আস্তে উন্মুক্ত করতেই হবে।’ তবে লকডাউন শিথিল করার আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে ছয়টি শর্ত পূরণের তাগিদ দিয়েছে-তার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে কোথায় দাঁড়িয়ে রয়েছে?

    ১. রোগ সংক্রমণ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে

    বাংলাদেশের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, প্রতিদিনই দেশটিতে করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হচ্ছে এবং নতুন নতুন এলাকায় তা ছড়িয়ে পড়ছে। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশে নতুন করে রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৪৩৪ জন। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৩৮২ জন। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১১০ জনের।

    আট কোটি জনসংখ্যার দেশ জার্মানিতে যেখানে প্রতিদিন পাঁচ লাখ মানুষের পরীক্ষা করা হয়, ১৬ কোটির বেশি মানুষের দেশ বাংলাদেশে সেখানে প্রতি দিন পরীক্ষা করা হচ্ছে প্রায় ৩ হাজার মানুষকে।

    স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সাবেক পরিচালক বে-নজীর আহমেদ বলছেন, ‘গত কয়েক দিনের চিত্রে দেখা যায়, রোগের বিস্তার তো থামছেই না, বরং বেড়ে চলেছে। বাংলাদেশে রোগটি নিয়ন্ত্রণে থাকার কোনো লক্ষণও নেই।’

    রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম আলমগীর বলছেন, ‘এ রকম মহামারিতে আমাদের প্রধান কাজ হচ্ছে, সংক্রমণের বিস্তারটা বন্ধ করে দেওয়া। যেমন, নারায়ণগঞ্জের মতো যেসব জেলায় সংক্রমণ হচ্ছে, সেটা পুরোপুরি লকডাউন করে দেওয়া।’

    ‘কিন্তু বাংলাদেশের মতো ঘনবসতির দেশে সেটা তো পুরোপুরি করা সম্ভব হয় ন। গত দুই তিনদিনে আমরা তো লক্ষণ ভালো দেখছি না। আমরা দেখছি, অনেক মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছে। আবার যে বেরিয়েছে, সে রোগের ব্যাপারে জানে। এক্ষেত্রে মানুষের মধ্যে একধরনের উদাসীনতা কাজ করে। এখন যে ট্রেন্ড চলছে, তাতে এই সময়ে রোগীর সংখ্যা আরও বাড়বে, কমবে না।’

    ২. দেশের স্বাস্থ্য বিভাগ প্রতিটা রোগীকে শনাক্ত, পরীক্ষা, আইসোলেশন আর চিকিৎসায় এবং সংস্পর্শে আসা প্রত্যেককে শনাক্ত করতে সক্ষম

    বাংলাদেশে প্রথম কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। কিন্তু শুরু থেকেই বাংলাদেশে রোগী শনাক্ত ও পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে অনেক সমালোচনা রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের অভিযোগ, শুরু থেকেই যদি পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো হতো, তাহলে আরও অনেক বেশি রোগী শনাক্ত হতেন।

    স্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষক গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী তথ্য গোপন করার অভিযোগ তুলে পরীক্ষার পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

    তিনি বলছেন, ‘বাংলাদেশ পরিচালিত হয় গোয়েন্দাদের দ্বারা। তারা জানে কীভাবে তথ্য লুকাতে হয়। পরীক্ষার দায়িত্ব শুধু একটা এজেন্সিকে দেওয়া হল। ২ হাজার কিট থাকা সত্ত্বেও তারা ২০০-টা ব্যাবহার করতেই সময় নিয়েছে অনেক বেশি।’

    পরবর্তী সময়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো হয়, সেই সঙ্গে রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। কিন্তু এখনো পর্যাপ্ত পরীক্ষা হচ্ছে না বলে বিশেষজ্ঞদের অভিযোগ।

    বে-নজীর আহমেদ বলছেন, ‘এখনো রোগী শনাক্ত, পরীক্ষা প্রয়োজনের তুলনায় সীমিত আকারে হচ্ছে। রোগীদের কন্টাক্ট ট্রেসিং করে শনাক্ত করা, পরীক্ষার কোনো ব্যবস্থা হচ্ছে না। রোগীরা নিজেরা লক্ষণ টের পাওয়ার পর নিজেরা যোগাযোগ করেন, তারপরেও তাদের ঠিকভাবে পরীক্ষা করা হয় না। অনেকে সশরীরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে পরীক্ষা করাতে হচ্ছে।’

    তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘তার পরিচিত একজন চিকিৎসক আইইডিসিআরে করোনাভাইরাসের লক্ষণের কথা জানানেরা দুইদিন পরেও নমুনা সংগ্রহ করতে কেউ আসেনি।’

    তিনি বলছেন, সংক্রমণের সংখ্যা যত বাড়বে, এই পরিস্থিতি তত খারাপ হয়ে উঠবে।

    এ ছাড়া সরকার তথ্য গোপন করছে, এই অভিযোগ রয়েছে অনেকদিন ধরেই। তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর বাড়ি লাল পতাকা টাঙিয়ে চিহ্নিত করে দেওয়া হচ্ছে, বাড়িওয়ালা বের করে দিচ্ছে, সামাজিক হয়রানির শিকার হচ্ছেন মানুষ। ফলে অনেকেই আক্রান্ত হওয়ার তথ্য প্রকাশ করছেন না। এর ফলে সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়ছে।

    রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সাবেক পরিচালক ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উপদেষ্টা অধ্যাপক বে-নজীর আহমেদ বলছেন, এখন যে রোগী শনাক্ত হচ্ছেন, যারা মারা যাচ্ছেন, তাদের কন্টাক্ট ট্রেসিং (আক্রান্ত ব্যক্তি যাদের সঙ্গে মিশেছেন, তাদের খুঁজে বের করে কোয়ারেন্টিন করা) খুব গুরুত্বপূর্ণ।

    তবে কন্ট্রাক্ট টেসিং একেবারেই হচ্ছে না বলে তিনি মনে করছেন।

    ৩. নার্সিংহোমের মতো সেবা কেন্দ্রগুলোর মতো নাজুক স্থানগুলোয় ঝুঁকি নিম্নতম পর্যায়ে নামিয়ে আনা

    রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সাবেক পরিচালক ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উপদেষ্টা অধ্যাপক বে-নজীর আহমেদ বলছেন, উন্নত দেশগুলোর মতো বাংলাদেশে নার্সিংহোমের প্রসার নেই। ফলে এখানে হয়তো সেটা ততটা প্রকট হবে না। তবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, যেসব হাসপাতালে করোনাভাইরাসের চিকিৎসা দেখা হচ্ছে, সেগুলো ছাড়াও অন্যান্য হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীরাও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন।

    ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের ডাক্তার এবং নার্সসহ মোট ৪২ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্স এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।

    আক্রান্ত হওয়ার আগে অনেক সাধারণ রোগী এই চিকিৎসক ও সেবিকারা অনেক সাধারণ রোগীকে সেবা দিয়েছেন। কিন্তু কন্ট্রাক্ট টেসিং না হওয়ার কারণে সেই ব্যক্তিরাও কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষার বাইরে থেকে গেছেন।

    শুধু কিশোরগঞ্জ জেলাতেই ৪১ জন স্বাস্থ্যকর্মী কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন। সিলেটের একজন চিকিৎসক কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

    বাংলাদেশ চিকিৎসক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে এ পর্যন্ত ২০৫ জন চিকিৎসক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত হয়েছেন ১০০ জনের বেশি নার্স।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চিকিৎসক জানিয়েছেন, রোগীরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য গোপন করে চিকিৎসা নেওয়ায় আর পর্যাপ্ত সুরক্ষা সরঞ্জাম না থাকার কারণে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন।

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেছেন, ‘চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের সুরক্ষার ব্যবস্থা এখনো করা যায়নি। যে রোগীরা হাসপাতালে যাচ্ছেন, তাদের সেবার ব্যাপারটি ঠিকভাবে নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। ফলে এসব স্থানে ঝুঁকি তো থেকেই যাচ্ছে, বরং সেটা আরও বাড়ছে।’

    ৪. স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত ও অন্যান্য দরকারি স্থানে সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা

    বাংলাদেশের সরকার সীমিত আকারে কিছু প্রতিষ্ঠান চালুর কথা ভাবতে শুরু করেছে। তবে সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, মে মাসে রমজানের ছুটি থাকার কারণে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকবে। অফিস-আদালতের সময়সূচি হবে সীমিত। খুলে দেওয়া হতে পারে কলকারখানা, গার্মেন্টস কারখানাগুলো।

    কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সাবেক পরিচালক ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উপদেষ্টা বে-নজীর আহমেদ বলছেন, ‘এ বিষয়ে সুরক্ষার, সংক্রমণ ঠেকাতে আসলে সরকারের এখনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা চোখে পড়ছে না।’

    ‘যারা কাজের জন্য ঢাকায় ফিরে আসবেন, তারা কতটা সামাজিক দূরত্ব মেনে কাজ করবেন, তাদের সুরক্ষার ব্যবস্থা কী হবে? ঢাকার বাইরে যারা সংক্রমিত হয়েছেন, তাদের অনেকে ফিরে এসে কাজে যাবেন, তাদের কোনো পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে কিনা?’

    ‘বিশেষ করে গার্মেন্টস কারখানার মতো স্থানে একজনের মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষের মধ্যে রোগটি ছড়িয়ে পড়তে পারে। সেটা ঠেকাতে কি কোনো প্রস্তুতি, পরিকল্পনা আছে?’

    তিনি বলেন, ‘সেরকম কোনো কিছুই কিন্তু দেখা যাচ্ছে না। শুধুমাত্র লকডাউন তুলে নিলেই তো হবে না। লকডাউন তুললেও যাতে সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি না হয়, সেটা তো নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু সেরকম কোনো কিছুই আদৌ দেখা যাচ্ছে কি?

    ‘প্রস্তুতি না থাকলে রোগটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়বে। তাতে কর্মশক্তির একটা বিপদ তৈরি হবে। সেই সঙ্গে আমরা যে ‘পিক’ পরিস্থিতি দেখার জন্য অপেক্ষা করছি, সেটা আরও দীর্ঘ হবে।’

    রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম আলমগীর বলছেন, ‘অর্থনীতির কথা চিন্তা করে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান খোলা যেতে পারে। কিন্তু এখনো একদম সবকিছু খুলে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। এই সময় সংক্রমণ আরও বাড়বে, কমবে না। তাই এই সময়ে সবকিছু চালু করা একটু ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাবে।’

    ৫. বাইরে থেকে আসা নতুন রোগীদের সামলানো

    চীনের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, দেশটি উহানের মতো এলাকা লকডাউন করে রেখে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সাফল্য পেলেও, বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের মাধ্যমে আবার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, শুধুমাত্র দেশীয় রোগীদের চিকিৎসার পাশাপাশি বাইরে থেকে যেন নতুন করে সংক্রমণের আমদানি না হয়, সেটাও ঠেকাতে হবে। কিন্তু বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থা ততটা সুবিধাজনক নয়।

    বাংলাদেশের প্রথম যারা শনাক্ত হয়েছেন, তারা সবাই বিদেশ থেকে এসেছেন অথবা বিদেশ ফেরতদের কাছাকাছি গিয়েছেন। পরবর্তী সময়ে সংক্রমণ স্থানীয়ভাবে ছড়িয়ে পড়ে।

    মার্চ মাসের শেষের দিকে বাংলাদেশ থেকে বেশিরভাগ দেশের সঙ্গে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

    স্বাস্থ্য বিভাগের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সাবেক পরিচালক বে-নজীর আহমেদ বলছেন, ‘অভিবাসী কর্মীদের নিয়ে আসার একটা চাপ রয়েছে বাংলাদেশের ওপর। বিমান চলাচল শুরু হওয়ার পর অনেকেই দেশে আসতে শুরু করবেন। নতুন করে বিস্তার ঠেকাতে তাদের সবার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থা থাকা দরকার। আমরা আগে যে ভুল করেছি, সেটা যেন আবার না হয়।’

    তবে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের জন্য ব্যাপকহারে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন চালু করার কোনো ঘোষণা সরকারের পক্ষ থেকে এখনো আসেনি। আশকোনা হজ ক্যাম্পে বিদেশ ফেরতদের থাকার কথা বলা হলেও, সেখানকার পরিবেশ নিয়ে অভিযোগ রয়েছে।

    তবে শুধু বিদেশ ফেরত নয়, যান চলাচল শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশের এক জেলা থেকে আরেক জেলায় সংক্রমণ ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলছেন, বাংলাদেশের সবকিছুই ঢাকাকেন্দ্রীক হওয়ায় অফিস-আদালত খুললে সবাই নানা কাজে ঢাকা আসতে শুরু করবেন।

    তিনি বলেন, ‘তখন ঢাকার বাইরে যেমন সংক্রমণ ঢাকার ভেতরে আসতে থাকবে, আবার ঢাকায় সংক্রমিত রোগীরা দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় ছড়িয়ে পড়বেন।’

    বে-নজীর আহমেদ বলছেন, ‘অভ্যন্তরীণভাবে এই ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে হলে দীর্ঘদিন জেলাগুলো বিচ্ছিন্ন করে রাখতে হবে। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সেটা তো আর সম্ভব নয়। কিন্তু এক্ষেত্রে কড়াকড়ি বা সতর্কতার কোনো উদ্যোগও নেই, সেই সক্ষমতাও বাংলাদেশের নেই। আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় এ ধররেন ঝুঁকি সামলাতে দক্ষতার অভাব রয়েছে। ফলে লকডাউন তুলে নেওয়ার পর এই ঝুঁকি থেকেই যাবে। আমার ধারণা, এখনকার ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, কলেরার মতো করোনাভাইরাস আমাদের দেশে দীর্ঘমেয়াদি একটা সমস্যার তৈরি করবে।”

    আরেকজন বিশেষজ্ঞ আইইডিসিআরের কর্মকর্তা এ এস এম আলমগীর অবশ্য বলছেন, ‘এভাবে লকডাউন করে তো আর চিরকাল থাকা যাবে না। মানুষকে ছাড় দিতে হবে। কোথাও কোথাও কয়েক ঘণ্টার জন্য ছাড় দেওয়া হচ্ছে। তবে বাংলাদেশের পক্ষে এটা করা খুব কঠিন। আমরা সহজে সেটা পারবোও না।’

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শর্তগুলো পূরণ করতে আমাদের এখনো অনেক দূর যেতে হবে বলে মনে করছেন এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একদম আদর্শ পরিস্থিতির কথা বলছে। অতো আদর্শিক পরিবেশে কারো পক্ষেই যাওয়া বেশ কঠিন। কিন্তু কয়েকটা শর্ত, চারটা পাঁচটাও যদি আমরা মানতে পারতাম, তাহলে সংক্রমণ অনেক কমে যেত।’

    ৬. সমাজের বাসিন্দারা পুরোপুরি সচেতন, সতর্ক ও নতুন জীবনযাপনের ব্যাপারে অঙ্গীকারবদ্ধ

    বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশেষজ্ঞরা এক্ষেত্রে একমত, করোনাভাইরাসের সতর্কতার ব্যাপারে বাংলাদেশের মানুষের সচেতনতার অভাব রয়েছে।সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার জন্য ও মানুষজন যেন ঘরে থাকে-তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি সারা দেশে সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে।

    তারপরেও অসতর্ক চলাফেরা ও সামাজিক দূরত্ব না মানার অনেক ছবি ও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে। রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সাবেক পরিচালক বে-নজীর আহমেদ বলছেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রথম থেকেই জনগণকে অনেক ভুল বার্তা দেওয়া হয়েছে। যেমন করোনা সাধারণ রোগ, সর্দি-কাশি, বাংলাদেশের কিছু হবে না, ইত্যাদি কথা বলা হয়েছে। প্রথম থেকেই ঠিকভাবে বার্তাটি যায়নি। ফলে জনগণ এখনো সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না।’

    ‘তাই এখনো দেখবেন, অনেকে মাস্ক পড়ে না, অতোটা সতর্ক নন। এই জায়গায় এখনো বিরাট ঘাটতি রয়ে গেছে।’ তিনি বলছেন, স্বাস্থ্য বিভাগের নানা ভুল বার্তায় মানুষজনও তাদের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।

    তবে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম আলমগীর বলছেন, ‘শুধু সরকারের একার পক্ষে তো করোনাভাইরাস পুরো নিয়ন্ত্রণের কাজ করা সম্ভব নয়। এজন্য জনগণের সবাইকে মিলে কাজ করতে হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখানে জনগণের মধ্যে সেই সচেতনতা কাজ করছে না।’

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি গ্রামের সমাজের কথা যদি নাও বলি, ঢাকার বাসিন্দাদের যথেষ্ট সচেতনতা নেই। মানুষজন ঘুরে বেড়াচ্ছে, বাজার করছে। আমার মনে হয় না তাদের আমরা কোনোরকম সচেতন করতে পেরেছি। এক্ষেত্রেও আমরা অনেক পিছিয়ে রয়েছি।’

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    Related Posts
    Flood

    রেকর্ড বৃষ্টিপাত, মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে ১৫ গ্রাম প্লাবিত

    July 9, 2025
    BTRC new sim rule

    মোবাইল সিম সীমা নিয়ে বিটিআরসির নতুন সিদ্ধান্ত

    July 8, 2025
    rain

    এমন বৃষ্টি কত দিন, জানাল আবহাওয়া অফিস

    July 8, 2025
    সর্বশেষ খবর
    K9 Natural Pet Nutrition:Leading the Natural Dog Food Revolution

    K9 Natural Pet Nutrition:Leading the Natural Dog Food Revolution

    Zerodha: Best Stock Trading Platform in India

    Zerodha: Best Stock Trading Platform in India

    Mobile Legends Philippines: Dominating Southeast Asia's Mobile Gaming Scene

    Mobile Legends Philippines: Dominating Southeast Asia’s Mobile Gaming Scene

    Best LED TV under 40000 in Bangladesh: Top Picks & Reviews

    Best LED TV under 40000 in Bangladesh: Top Picks & Reviews

    Huawei MatePad T10: Price in Bangladesh & India with Full Specifications

    Huawei MatePad T10: Price in Bangladesh & India with Full Specifications

    Samsung Q80B QLED TV: Price in Bangladesh & India with Full Specifications

    Samsung Q80B QLED TV: Price in Bangladesh & India with Full Specifications

    Willie Salim: Master Chef Revolutionizing Indonesian Cuisine

    Willie Salim: Master Chef Revolutionizing Indonesian Cuisine

    Sony WH-1000XM5 Wireless Headphones বাংলাদেশে ও ভারতে দাম বিস্তারিত স্পেসিফিকেশনসহ

    Sony WH-1000XM5 Wireless Headphones বাংলাদেশে ও ভারতে দাম বিস্তারিত স্পেসিফিকেশনসহ

    Electrolux UltimateCare 500 Washing Machine বাংলাদেশে ও ভারতে দাম বিস্তারিত স্পেসিফিকেশনসহ

    Electrolux UltimateCare 500 Washing Machine বাংলাদেশে ও ভারতে দাম বিস্তারিত স্পেসিফিকেশনসহ

    Samsung WindFree AC 1.0 Ton বাংলাদেশে ও ভারতে দাম বিস্তারিত স্পেসিফিকেশনসহ

    Samsung WindFree AC 1.0 Ton বাংলাদেশে ও ভারতে দাম বিস্তারিত স্পেসিফিকেশনসহ

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.