গাজা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে লন্ডনের মর্যাদাপূর্ণ রয়াল কলেজ অব ডিফেন্স স্টাডিজ আগামী বছর থেকে ইসরায়েলি শিক্ষার্থীদের ভর্তি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য টাইমস ও টেলিগ্রাফ সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে।
কলেজটি ব্রিটিশ ডিফেন্স একাডেমির অংশ, যা সশস্ত্র বাহিনী ও সিভিল সার্ভিসের মধ্যে কৌশলগত চিন্তাবিদ ও নেতাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট কোর্সে অংশ নিতে পারে। তবে গাজা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এই নতুন নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক আমির বারাম এই সিদ্ধান্তকে ‘বৈষম্যমূলক’ এবং ‘যুদ্ধরত মিত্রের প্রতি অবিশ্বাস’ হিসেবে সমালোচনা করেছেন। বারাম নিজেও ওই কলেজে অধ্যয়ন করেছেন। তিনি ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে বলেছেন, “সত্যি বলতে, ইসরায়েলের বহিষ্কার ব্রিটিশ নিরাপত্তার স্ব-বিনাশ ছাড়া কিছু নয়।”
এছাড়া, ব্রিটেন গাজায় ব্যবহৃত অস্ত্রের জন্য ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানির কিছু লাইসেন্স স্থগিত করেছে। তবে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশের ক্ষেত্রে রপ্তানি অনুমতি অব্যাহত রাখা হয়েছে।
গত সপ্তাহে লন্ডনে অনুষ্ঠিত একটি বড় অস্ত্র মেলাতেও ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যদিও ৫১টি ইসরায়েলি অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিয়েছে, যার মধ্যে প্রধান প্রতিষ্ঠান এলবিটও রয়েছে। প্রদর্শনীর বাইরে ফিলিস্তিনপন্থীরা বিক্ষোভ চালায়।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার তার সরকারকে ইসরায়েল-হামাস সংঘর্ষের মধ্যে দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করছেন, কিন্তু সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তগুলো আন্তর্জাতিকভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।