লাইফস্টাইল ডেস্ক : স্বাস্থ্যোজ্জ্বল, লম্বা ও ঘন চুল পেতে চাইলে নিয়মিত তেল ম্যাসাজের বিকল্প নেই। শ্যাম্পু-কন্ডিশনারের পাশাপাশি চুলের যত্নে বিভিন্ন ধরনের তেলের ব্যবহার ভীষণ জরুরি। কারণ প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে চুলের গোড়া শক্তিশালী করে তেল। এছাড়া চুলের দ্রুত বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রয়েছে তেলের। জেনে নিন চুলের যত্নে কোন কোন তেল ব্যবহার করবেন।
- চুলের যত্নে নারকেল তেল ব্যবহার করুন নিয়মিত। এতে থাকা ভিটামিন ও ফ্যাটি অ্যাসিড চুলের ক্ষতির বিরুদ্ধে লড়াই করে। এছাড়া ডিপ কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে উপকারী এই তেল।
- ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন-ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের দারুণ উৎস অরগ্যান অয়েল। চুলের রুক্ষতা প্রতিরোধ করতে পারে এই তেল। মাথার ত্বকের যত্নেও কার্যকর অরগ্যান অয়েল।
- চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে ক্যাস্টর অয়েল। রিসিনোলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ এই তেল চুল পড়া কমাতে সহায়তা করে। এর অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণও রয়েছে।
- চুলের ভেঙে যাওয়াকে প্রাকৃতিকভাবে প্রতিরোধ করে অলিভ অয়েল। চুলের আগা ফেটে যাওয়াও আটকায় উপকারী অলিভ অয়েল। এতে রয়েছে ভিটামিন-ই এবং উচ্চ মাত্রার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা চুলের যত্ন নেয়।
- চুলের জন্য চমৎকার একটি প্রাকৃতিক তেল হচ্ছে জোজোবা অয়েল। চুলের ফলিকলের যত্ন নেয় এই তেল। ফলে স্বাস্থ্যোজ্বল ও ঝলমলে থাকে চুল।
- ভিটামিন-ই, ম্যাগনেসিয়াম এবং বায়োটিন মেলে আমন্ড অয়েল থেকে। নিয়মিত এই তেল ম্যাসাজ করলে চুলের ভেঙে যাওয়া প্রতিরোধ করা সম্ভব।
- অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আমলা অয়েল বা আমলকীর তেল চুলের যত্নে দারুণ উপকারী। চুলের অকালে পেকে যাওয়াও প্রতিরোধ করে আমলা অয়েল।
- চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে চুলের দ্রুত বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে রোজমেরি অয়েল ব্যবহার কররে পারেন। এতে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান খুশকি থেকে আমাদের দূরে রাখতে পারে।
- খুশকি দূর করতে কার্যকর আরও একটি তেল হচ্ছে টি ট্রি অয়েল। চুলের পাশাপাশি মাথার ত্বকও সুস্থ রাখে এই তেল।
- ভিটামিন এ, ডি, ই এর পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর ফ্যাটে পরিপূর্ণ অ্যাভোকাডো অয়েল। চুলের ক্ষতি থেকে এটি রক্ষা করতে পারে আপনাকে। তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।