সিনেমার জগতে লর্ড অফ দ্য রিংস ট্রিলোজি কত জনপ্রিয় সিরিজ তা ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন নেই। আপনি ফ্যান্টাসি সিনেমা নিয়ে আলোচনা করবেন কিন্তু সেখানে এ সিরিজের নাম থাকবে না সেটা সম্ভব নয়। তবে এ বিখ্যাত সিনেমা নির্মাণের পেছনে অজানা অনেক দিক রয়েছে যা আপনাকে অবাক করে দিবে। আজ এরকম ৫ টি দিক নিয়ে আলোচনা করা হবে।
১.
সিরিজের একেকটি মুভি গড়ে প্রায় ৯৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার করে ইনকাম করেছে। অর্থাৎ, প্রত্যেক মুভি লগ্নিকৃত অর্থের ১০ গুণ ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। তিন মুভির মোট বক্স অফিস কালেকশন ২.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
২.
লর্ড অভ দ্য রিংস ফ্র্যাঞ্চাইজিতে মোট সাত প্রকার ভাষার অস্তিত্ব লক্ষ্য করা যায়। এই ফ্যান্টাসি সাগার স্রষ্টা টোলকিন ছিলেন একজন ভাষাবিদ, ইউনিভার্সিটি অভ লিডসের ইংরেজি ভাষার অধ্যাপক। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো এলভদের ভাষা সিনদারিন এবং কুয়েনিয়া, সাওরনের ভাষা, ভালারের ভাষা এন্টিশ, ডোর্ভদের গোপন ভাষা খুজদুল। প্রত্যেক ভাষার জন্য আলাদা ব্যাকরণিক নিয়মও লিপিবদ্ধ করা আছে। অর্থাৎ কেউ চাইলে বাস্তব জীবনেও এই ভাষা ব্যবহার করতে পারবে।
৩.
১৯৯৪ সালে জেমস ক্যামেরন অ্যাভাটারের ৮০% কাজ গুছিয়ে ফেলেছিলেন। কিন্তু ওই সময়ে ভিজুয়াল ইফেক্টের মান অতটা উন্নত না হওয়ায় তিনি সিনেমার কাজে হাত দেওয়ার ভরসা পাচ্ছিলেন না। ২০০২ সালে ‘দ্য লর্ড অভ দ্য রিংস: দ্য টু টাওয়ার্স’ সিনেমায় গলুমের সিজিআই আর মোশন ক্যাপচার দেখে অভিভূত হন ক্যামেরন। তিনি বুঝতে পারলেন, কাজে নামার উপযুক্ত সময় এসে গেছে।
৪.
ট্রিলজির তিনটি সিনেমা যথাক্রমে ২০০১, ২০০২ এবং ২০০৩ সালে মুক্তি পেয়েছে। বিশাল দৈর্ঘ্যের সিনেমার কাজ সামলাতে গিয়ে নাভিশ্বাস ওঠার উপক্রম হয়েছিল পুরো সম্পাদনা দলের। এমনও সময় গিয়েছে, যেখানে তিনটি সিনেমার কাজ একসাথে চলেছে। তৃতীয় মুভি রিলিজের পরেও সম্পাদনার কাজ অব্যাহত রাখা হয়েছিলো।
৫.
গ্রাফিক্স এবং ভিএফএক্সের বহু নতুন জিনিস এই সিনেমাতেই প্রথম ব্যবহার করা হয়েছিল। এজন্য পরিচালক অনেক জায়গাতে প্র্যাক্টিক্যাল এলিমেন্ট ব্যবহার করেছিলেন। শুনলে অবাক হতে হয়, ট্রিলজিতে ব্যবহৃত কস্টিউম সংখ্যা প্রায় ১৮ হাজার।
৬.
বরোমিরের চরিত্রে অভিনয় করা সিন বিনের ছিল প্রচণ্ড হেলিকপ্টারভীতি। হেলিকপ্টারে না চড়ায় সিন বিনকে প্রায় দু’ঘণ্টার পথ পাড়ি দিয়ে শুটিং সেটে পৌঁছাতে হতো। শুধু তার জন্যই সকল কাস্ট-ক্রুদের পাহাড়ে প্রায় দু’ঘণ্টার মতো অপেক্ষা করতে হতো
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।