আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দোনেৎস্কের গুরুত্বপূর্ণ শহর লাইমান হয়ে উঠেছে ইউক্রেনের প্রধান টার্গেট। কিন্তু কেন?
গত মে মাসের শেষে দিকে দোনেৎস্কের গুরুত্বপূর্ণ শহর লাইমান দখলের পর রাশিয়ার সৈন্যরা এটিকে গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহার করছে।
রাশিয়ান সৈন্যরা শহরটিকে তাদের লজিস্টিক সাপোর্ট ও অস্ত্রের সরবরাহের প্রধান কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলে।
শুধু তাই নয়, লাইমান শহরটি দোনেৎস্ক, লুহানস্ক ও খারকিভ অঞ্চলের রেল যোগাযোগের জন্যও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
লাইমান শহরটিতে বর্তমানে ৫ হাজার রাশিয়ান সৈন্য আটকে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই শহরটি ইউক্রেন পুরোপুরি দখলে নিতে পারলে তা হবে গত ফেব্রুয়ারিতে আগ্রাসন চালানোর পর থেকে সবচেয়ে বড় সামরিক পরাজয়।
এটি দখল করতে পারলে তা হবে ইউক্রেনের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। এর ফলে ইউক্রেনের সৈন্যরা দোনেৎস্কের উত্তরাংশে সহজে চলাচল করতে পারবে এবং লুহানস্কের দিকেও অগ্রসর হতে পারবে।
ইতিমধ্যে ইউক্রেনের সৈন্যরা লাইমানের সীমান্তবর্তী দুইটি গ্রাম পুনর্দখল করেছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন।
এদিকে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করার আগে লাইমানে ২০ হাজার মানুষের বসবাস ছিল। এটি সামরিক অভিযানের শুরুর দিকে দখল করে নেয় রুশ সেনারা।
কিন্তু আগস্টের শেষ দিকে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর চালানো তড়িৎগতির পাল্টা আক্রমণ শুরু হওয়ার পর লাইমান শহরটি রুশ সেনাদার হাত থেকে হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
যদি লাইমান শেষ পর্যন্ত ইউক্রেনের সেনারা পুনর্দখল করে নিতে পারে তাহলে দোনেৎস্কে রুশ সেনাদের রসদ পরিবহণ ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়বে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।