লাফ দিয়ে কি পৃথিবীর বাইরে যাওয়া সম্ভব? এ প্রশ্নের সবচেয়ে সহজ উত্তর, না। কারণ, এখানে মহাকর্ষ নামের কিছু একটা আছে। মহাকর্ষ এমন একটি বল, যা বস্তুকে একত্র করে রাখে। এই বলই আমাদের পৃথিবীতে থাকতে বাধ্য করে। মহাকর্ষ বল সব বস্তুকে পরস্পর আকর্ষণ করে বা টানে। এই বলের কারণে গ্রহগুলো নক্ষত্রের চারপাশে ঘুরতে থাকে।
গ্রহ-নক্ষত্রের ভর অনেক বেশি। তাই এগুলো বেশি বল প্রয়োগ করে। যেমন বৃহস্পতি সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ। তাই বৃহস্পতির মহাকর্ষ বলও পৃথিবীর তুলনায় ২.৫ গুণ বেশি।
মাধ্যাকর্ষণ
ব্রিটিশ বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটন প্রথম মহাকর্ষ নিয়ে গবেষণা করেন। তাঁর জন্ম ১৬৪৩ সালে। তাঁর মহাকর্ষ বলের সূত্র আবিষ্কার নিয়ে একটা মজার গল্প প্রচলিত আছে। বলা হয়, নিউটন একটি আপেল গাছের নিচে বসে ছিলেন। তখন তাঁর মাথায় একটি আপেল পড়ে। ব্যাপারটা নিউটনের মনে একটি প্রশ্নের জন্ম দেয়। আপেলটি কেন আকাশে উড়ে গেল না? মাটিতেই কেন পড়ল? এর একটি ব্যাখ্যা দাঁড় করালেন তিনি। পৃথিবীর মহাকর্ষ বলই সব বস্তুকে কেন্দ্রের দিকে টানে। সে কারণেই আপেল মাটিতে পড়েছে। এটিই নিউটনের বিখ্যাত মহাকর্ষ তত্ত্ব।
চাঁদে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কম কেন?
বস্তুর ভরের ওপর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নির্ভর করে। পৃথিবী চাঁদের তুলনায় অনেক বড় ও ভারী। তাই চাঁদের তুলনায় পৃথিবীর মহাকর্ষ বলও বেশি। পৃথিবীর তুলনায় চাঁদের মহাকর্ষ টান প্রায় ছয় ভাগের এক ভাগ মাত্র।
ভর
কোনো বস্তুর ভর বলতে ওই বস্তুতে থাকা পদার্থের মোট পরিমাণকে বোঝায়। যত বেশি পদার্থ থাকবে, বস্তুর ভরও তত বেশি হবে। আর ওজন বলতে কোনো বস্তুর ওপর পৃথিবীর আকর্ষণ বলকে বোঝায়।
বৃহস্পতি বনাম পৃথিবী
ধরা যাক, পৃথিবীতে একটি ছেলের ওজন ৩০ কেজি। বৃহস্পতি গ্রহে গেলে তার ওজন হবে প্রায় ৭৫ কেজি, যা একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের ওজনের সমান।
চাঁদ বনাম পৃথিবী
বৃহস্পতিতে না গিয়ে চাঁদে গেলে ছেলেটির ওজন কিন্তু কমে যাবে। চাঁদে তার ওজন হবে একটি বিড়ালের ভরের সমান, মানে পাঁচ কেজির কম। কারণ, চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ পৃথিবীর প্রায় এক-ষষ্ঠাংশ। তা ছাড়া চাঁদ পৃথিবীর তুলনায় কম ভারী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।