জুমবাংলা ডেস্ক: চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তরের ছেংগারচর পৌরসভার ওটারচর গ্রামের তরুণ মো. আতাউর রহমান সরকার। কৃষিকাজকে নিজের ভাগ্য বদলের হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছেন। সফলতারও মুখ দেখতে শুরু করছেন। আর এই সফলতা আসছে লাল শাক চাষের মাধ্যমে।
চলতি মৌসুমে ৪৪ শতক জমিতে লাল শাক চাষ করেছেন আতাউর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লাল শাক ও এর বীজ বিক্রি করে বেশ লাভবান হবেন বলে জানান তিনি।
উপজেলা কৃষি দপ্তরের সূত্র মতে, মতলব উত্তর উপজেলায় কৃষি খাতে নিরব বিপ্লব ঘটেছে। এক সময় চাষিরা শুধু ধান চাষ করতো। কিন্তু এখন স্থানীয় অনেক কৃষকই আধুনিক পদ্ধতিতে নানা জাতের লাল শাক উৎপাদন করছে। আর সেখান থেকে বীজ উৎপাদন করে আয় করছে লাখ-লাখ টাকা। লাভের মুখ দেখায় কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই লাল শাকের বীজ উৎপাদন।
জানা যায়, মতলব উত্তর উপজেলায় প্রায় ১৩০ হেক্টর জমিতে এ বছর উচ্চফলনশীল লাল শাকের আবাদ করা হয়েছে। পরে এসব শাক থেকে বীজ উৎপাদন করা হবে।
লাল শাক চাষি আধুনিক কৃষক ও তরুণ উদ্যোক্তা আতাউর বলেন, আমি আগে আমার এই জমিতে ধান চাষ করতাম। কিন্তু এভাবে যে লাল শাকের বীজ উৎপাদন করে লাভবান হওয়া যায়, তা কখনো ভাবিনি। এলাকার অন্য কৃষকদের দেখে আমিও বীজ উৎপাদন শুরু করি। যদিও শুরুতে শুধুমাত্র ২৪ শতক জমিতে চাষ করেছিলাম, এখন ৪৪ শতক জমিতে চাষ করি। আমার খরচ হয়েছে ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা। বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে ৫০ থেকে ৫২ হাজার টাকা। পাশাপাশি ধনিয়া, মুলা, ঢেঁড়স এবং ধান চাষ করেছি অন্য জমিতে। এই বীজ উৎপাদনে সুবিধা হচ্ছে এতে বেশি সময় লাগেনা। আবার পুঁজিও খুব কম লাগে। কিন্তু লাভ অনেক বেশি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে আমাকে সঠিক তথ্য ও পরামর্শ দিয়েছেন বলে আমার ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছি।
মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন বলেন, লালশাক ও বীজ উৎপাদন বদলে দিয়েছে গ্রামীণ অর্থনীতির চিত্র। এসব গ্রামের কৃষকরা এখন লাল শাক ও বীজ উৎপাদনে অনেক বেশি অভিজ্ঞ। এছাড়া কৃষিকাজের ক্ষেত্রে তাদের যে ধরনের সহযোগিতার প্রয়োজন হয় তার সবটুকুই আমাদের কাছ থেকে পায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।