বিনোদন ডেস্ক : “দয়া করে আমার ছবিটাকে বয়কট করবেন না, প্লিজ আমার ছবিটা দেখুন”, ঠিক এইভাবেই দর্শকদের কাছে ক্ষমাভিক্ষা চেয়েছিলেন মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান। কিন্তু তার শুকনো কথায় যে চিঁড়ে ভেজেনি তা এদিন রীতিমত স্পষ্ট হয়ে গেল। বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে তার সিনেমাটি।
১৮০ কোটি টাকা আর ১৫ টা বছর, এগুলো লেগেছে সিনেমা তৈরী করতে। অবশ্য এটি একদম অরিজিনাল সিনেমা নয়, এটি টম হ্যাঙ্কস এর বিখ্যাত ছবি ‘ফরেস্ট গাম্প’ এর হিন্দি সংস্করণ। দর্শকরা তো আবার এই সিনেমাকে রিমেক না বলে ‘স্পুফ’ বলে অ্যাখ্যা দিয়েছেন।
এই বয়কটের ঘটনায় একেবারে হতাশ মিস্টার খান। তার নাকি হৃদয় ভেঙে গিয়েছে একেবারে। স্বাধীনতা দিবসের সময় এই সিনেমা রিলিজ করে দর্শক টানতে চেয়েছিলেন আমির খান। কিন্তু বাস্তবচিত্র পুরোপুরি বদলে গেল। বয়কটের ডাকের কারণে এখনো অবধি ৫০ কোটির গণ্ডির কাছাকাছি পৌঁছল না, লাল সিং চাড্ডা।
তার একজন খুবই নিকট ব্যক্তি জানিয়েছেন যে, “লাল সিং চাড্ডা’র জন্য সত্যি অনেক পরিশ্রম করেছিলেন তিনি। ‘ফরেস্ট গাম্প’-এর সেরা সংস্করণ তৈরি করতে চেয়েছিলেন অভিনেতা। দর্শক যেভাবে তাঁর ছবিটি নাকচ করেছে, তাতে ভয়ানকভাবে মন ভেঙেছে আমিরের।” সাথে আমিরের ভাইঝি বলেছেন, “হেট ক্যাম্পেইন তৈরি করে দয়া করে ছবিটা নষ্ট করবেন না”। আমিরের কন্যা ইরা আবার সেই ভিডিয়ো নিজের ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন।
আমিরের অনেক আশা ছিল এই ছবিকে ঘিরে। কিন্তু তার সমস্ত আশায় জল ঢেলে দিয়েছেন দর্শকরা। আর এই সিনেমার ব্যর্থতার কারণ হিসেবে উঠে এসেছে ‘বয়কট লাল সিং চাড্ডা’ ক্যাম্পেইন। আবার যারা হলে এই সিনেমা দেখে বেরোচ্ছেন তাদের নেগেটিভ রিভিউ ও এই সিনেমার না চলার অন্যতম কারণ।
প্রসঙ্গত, আমির খান হয়তো বহু আগেই এরকম কিছু আশা করেছিলেন তাজ তিনি বলেন, “যাঁরা এমনটা করছেন, তাঁরা মনে করেন আমি ভারতবর্ষকে ভালবাসি না। এটা কিন্তু সত্যি নয়। ভেবে খারাপ লাগে, কিছু মানুষ এমনটা ভাবছেন। আমার ছবিটা বয়কট করবেন না প্লিজ়। প্লিজ় দয়া করে আমার ছবিটা আপনারা দেখুন।” কিন্তু তার সেই কোথায় যে কেও পাত্তা দেয়নি তা ছবির পারফরম্যান্স থেকে একদম স্পষ্ট।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।