জুমবাংলা ডেস্ক : ঘড়ির কাঁটায় তখন বিকেল ৩টা। একে একে সাইরেন বাজিয়ে গ্রামে ঢুকছিল লাশবাহী গাড়িগুলো। আর রাস্তার দুই পাশে ছিল গ্রামের শোকার্ত শত শত নারী-পুরুষের ভিড়। লাশবাহী গাড়িগুলো যখন বাড়ির সামনে এসে থামল, তখন যেন গাড়ির ওপর আহাজারি আছড়ে পড়ল নিহতের স্বজনদের।
শুক্রবার (২ আগস্ট) এমন হৃদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয় ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার জয়কৃষ্ণপুরে ইউনিয়নের বালেঙ্গা গ্রামে। গত ৭ জুলাই দুবাইয়ের আজমান প্রদেশে গাড়ি বিস্ফোরণে নিহত পাঁচজনের মধ্যে চারজনের বাড়িই এই বালেঙ্গা গ্রামে। অন্যজনের বাড়ি পার্শ্ববর্তী দোহার বাজারে।
নিহতরা হলেন নবাবগঞ্জের বালেঙ্গা গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে মো. রানা (৩০), আব্দুল হাকিমের ছেলে মো. রাশেদ (৩২), শেখ ইরশাদের ছেলে মো. রাজু (২৪), শেখ ইব্রাহীমের ছেলে ইবাদুল ইসলাম (৩৪) এবং দোহার বাজার এলাকার মো. মঞ্জুর ছেলে মো. হিরা মিয়া (২২)। দুবাইয়ের একই জায়গায় কাজ করতেন তারা।
শুক্রবার সকাল ৯টায় বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি কার্গো বিমানে দেশে আসে নিহতদের মরদেহ। বিকেল ৩টার দিকে গ্রামের বাড়ি নবাবগঞ্জ ও দোহার উপজেলার আসে মরদেহগুলো। পরে বাদ আসর জানাজা শেষে স্থানীয় সামাজিক কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়। এ ঘটনায় পুরো গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জানা যায়, গেল ৭ জুলাই বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রানা নিজেই প্রাইভেট গাড়ি চালিয়ে চারজনকে নিয়ে কাজে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে আজমান প্রদেশেই রাস্তায় একটি ডিজেল বহনকারী ট্যাংকারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে পুড়ে অঙ্গার হয়ে যান রানাসহ এই পাঁচ প্রবাসী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।