স্পোর্টস ডেস্ক: রবার্ট লিওয়ানদোস্কির হ্যাট্রিকে অস্ট্রিয়ান ক্লাব রেড বুল সালজবার্গকে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ।
আলিয়াঁজ এরিনায় মঙ্গলবারের ম্যাচটিতে মাত্র ১১ মিনিটে হ্যাটট্রিক করে রেকর্ড গড়েছেন পোলিশ তারকা লিওয়ানদোস্কি। নিজে তিন গোল করার পাশাপাশি সতীর্থ লেরয় সানেকে দিয়ে আরো এক গোল করিয়েছেন। ম্যাচ শুরুর ২৩ মিনিটের মধ্যে লেভা তার নামের পাশে তিন গোল যোগ করেন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এত দ্রুত হ্যাট্রিকের রেকর্ড আর নেই। এর আগে অস্ট্রিয়ান চ্যাম্পিয়ন সালজবার্গের মাঠে শেষ ১৬’র প্রথম লেগের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল। মিউনিখে অঘটন ঘটানোর আশায় খেলতে আসা সালজবার্গকে কাল দাঁড়াতেই দেয়নি বেভারিয়ান্সরা। লিওয়ানদোস্কির প্রথম দুটি গোল এসেছে স্পট কিক থেকে।
সব ধরনের প্রতিযোগিতায় সর্বশেষ আট ম্যাচে এ নিয়ে ২০ গোল করলো বায়ার্ন। ম্যাচ শেষে বায়ার্ন অধিনায়ক ম্যানুয়েল নয়্যার বলেছেন, ‘এটা অবশ্যই আমাদের জন্য অনেক বড় একটি অর্জন। একইসাথে এই জয়টি আমাদের মধ্যে এই আশা জাগিয়েছে যে এর থেকেও বড় কিছু করার সাধ্য আমাদের আছে।’
লিওয়ানদোস্কির প্রথম ও তৃতীয় গোলের মাঝে সময় ছিল মাত্র ১০ মিনিট ২৭ সেকেন্ড। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পোলিশ এই তারকার করা ৬টি হ্যাটট্রিকের মধ্যে এটাই দ্রুততম।
বায়ার্নের অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার থমাস মুলার বলেছেন, ‘ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমনাত্মক খেলার পরিকল্পনা নিয়েই আমরা মাঠে নেমেছিলাম। লেভা সেই পরিকল্পনাটা সহজ করে দিয়েছে। তাকে প্রতিরোধ করা সালজবার্গের পক্ষে অসম্ভব ছিল। আমরা সবাই জানতাম এই ম্যাচটা আমাদের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা যদি ছিটকে যেতাম তাহলে পরবর্তী তিন মাস আমাদের জন্য দূর্বিসহ হয়ে উঠতো।’
৩-৫-২ ফর্মেশনে বায়ার্ন ম্যাচের শুরু থেকেই আগ্রাসী খেলা খেলতে থাকে। যদিও এ কারনে রক্ষনভাগকে কিছুটা আগাছালো মনে হয়েছে। প্রথম মিনিটেই উভয় দলই গোলের সুযোগ তৈরী করেছিল। ম্যাচের প্রথম আক্রমনেই লিওয়ানদোস্কির জোড়ালো শট দারুনভাবে রুখে দেন সালজবার্গ গোলরক্ষক ফিলিপ কোহেন। অন্যদিকে কিংসলে কোম্যানের দুর্দান্ত ব্লকে হতাশ হতে হয় নিকোলাস কাপালডোকে। ১২ মিনিটে বক্সের ভিতর লিওয়ানদোস্কিকে ফাউল করে বসে সালজবার্গ ডিফেন্ডার ম্যাক্সিমিলিয়ান ওবার। প্রাপ্ত পেনাল্টি থেকে বায়ার্নকে এগিয়ে দিতে ভুল করেননি এই পোলিশ স্ট্রাইকার। প্রথমদিকে মনে হয়েছির এই লিড বায়ার্ন খুব বেশীক্ষণ ধরে রাখতে পারবে না। নিকোলাস সিওয়াল্ডের শট অল্পের জন্য ক্রসবারের উপর দিয়ে বাইরে চলে না গেলে তখনই হয়ত সমতা ফেরাতে পারতো সালজবার্গ। ২১ মিনিটে আবারো পেনাল্টি উপহার পায় বায়ার্ন। এবারও আস্থার প্রতিদান দেন লেভা। তার গোলেই ব্যবধান দ্বিগুন করে স্বাগতিকরা। দুই মিনিট পর কাউন্টার এ্যাটাক থেকে কোহেনকে একা পেয়ে ঠান্ডা মাথায় বল জালে জড়িয়ে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন লেভা। ৩১ মিনিটে সার্জি গ্যানাব্রি অসাধারন দক্ষতায় দলের হযে চতুর্থ গোলটি পূরণ করেন।
বিরতির ঠিক পরপরই কার্লিং শটে দলের লিড ৫-০’ তে নিয়ে যান মুলার। ৭০ মিনিটে ১৮ বছর বয়সী ড্যানিশ মিডফিল্ডার মরিটস কায়েগার্ড কাউন্টার এ্যাটাক থেকে ম্যানুয়েল নয়্যারকে পরাস্ত করলে সান্তনার এক গোল উপহার পায় অতিথিরা। কিন্তু বায়ার্নের গোলক্ষুধা তখনো শেষ হয়নি। ৮৩ মিনিটে আবারো মুলারের গোলে ষষ্ঠ গোল পায় বায়ার্ন। ম্যাচ শেষের পাঁচ মিনিট আগে সানেকে দিয়ে দলের সপ্তম গোলটি করিয়েছেন লিওয়ানোদোস্কি। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।