জুমবাংলা ডেস্ক : গাইবান্ধায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের জনবল নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার খাতার সঙ্গে হাতের লেখার মিল না থাকায় ২২ পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। শনিবার (২৬ অক্টোবর) মৌখিক পরীক্ষা চলাকালে তাদের আটক করা হয়। রবিবার আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানায়, গত ২৬ অক্টোবর দুপুর ২টা থেকে ওই দপ্তরের রাজস্ব শাখার ৫৫ জন শূন্য পদের নিয়োগে লিখিত পরিক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়।
এই সময় মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্যে ২২ জনের লিখিত পরীক্ষার খাতার লেখার সঙ্গে তাদের হাতের লেখার কোনো মিল পাওয়া যায়নি। মূলত ভাইভায় অংশগ্রহণকারী এই ২২ পরিক্ষার্থীর পরিবর্তে অন্য কেউ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল।
গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ বলেন, ‘ভাইভা বোর্ডে ২২ পরিক্ষার্থীর প্রতারণার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। অভিযুক্তরা ভাইভা বোর্ডের কর্মকর্তাদের কাছে তাদের প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
আমরা অভিযুক্তদের পুলিশে সোপর্দ করেছি। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে।’
এর আগে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকালে সদর উপজেলার ১৭ টি কেন্দ্রে অফিস সহায়ক পদের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২২৬ জন পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
পরদিন ২৬ অক্টোবর শনিবার দুপুর ২টা থেকে তাদের মৌখিক পরিক্ষা ওই কার্যালয়ে শুরু হয়। রাতে অভিযুক্তদের আটক করেন নিয়োগ বোর্ডের সদস্যরা।
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহানুর ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষে ২২ জনকে আসামি করে প্রত্যারণার মামলা দেয়া হয়েছে। আদালতে সোপর্দ করার পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। পুলিশ তদন্ত করে চার্জশিট দেবে।
এর আগে চলতি বছরের ২৬ মে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রাজস্ব শাখার ৫৫টি শূন্য পদ পূরণের লক্ষ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জেলা প্রশাসন। বিজ্ঞপ্তিতে ৩০ মে থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত একমাস জেলার স্থায়ী বাসিন্দাদের শর্ত সাপেক্ষে আবেদনের সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়। বেধে দেওয়া সময়ের সময়ের মধ্যে ১১ হাজার পরিক্ষার্থী অনলাইনে আবেদন করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।