জুমবাংলা ডেস্ক : ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী মোহাম্মদ লিটনের চিকিৎসা হবে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ)। শনিবার ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানার নির্দেশে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের একটি অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। সেখানেই চলবে কলেজছাত্র লিটনের উন্নত চিকিৎসা।
২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর এ নিয়ে জাতীয় দৈনিক এক পত্রিকায় ‘লিটনের শরীরে ৫০০ গুলি, চিকিৎসার দায়িত্ব নিচ্ছে না কেউ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে বিষয়টি সবার নজরে আসে।
লিটনের মা লিলি বেগম জানান, জেলা প্রশাসক তাঁর কার্যালয়ে ডেকে লিটনকে চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। এরপর তিনি লিটনকে ঢাকা যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে বলেন।
লিটন বলেন, ‘ডিসি স্যার আমাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় সিএমএইচে চিকিৎসার জন্য পাঠাচ্ছেন। এতে আমি খুব খুশি।’
ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সিরাজুল ইসলাম বলেন, লিটন ছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ আরও ছয়জনকে চিকিৎসার জন্য একই অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা বলেন, ‘লিটনের চিকিৎসার বিষয়ে ঢাকায় সিএমএইচে কথা বলেছি। ওখানকার চিকিৎসক লিটনকে ট্রমা সেন্টারে যেতে বলেছে। কর্তব্যরত ডাক্তাররা তাকে দেখার পর জানাবেন, ওর কী চিকিৎসা হতে পারে।’
গত ৪ আগস্ট ঠাকুরগাঁও শহরের কোর্ট চত্বর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন লিটন। সেই গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে যায় তাঁর পুরো শরীর। চিকিৎসকেরা বলছেন, লিটনের শরীরে এখনো গুলির প্রায় ৫০০ ক্ষত রয়ে গেছে। সূত্র : আজকের পত্রিকা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।