আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লিথুয়ানিয়ায় প্রশিক্ষণকালে চার মার্কিন সেনা রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে গেছে। তাদের খোঁজে ব্যাপক তল্লাশি চলছে। সেনাদের বহনকারী একটি সামরিক গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। ন্যাটো ও মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাতে এ খবর জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।
বেলারুশ সীমান্ত থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার (৬ মাইল) দূরে অবস্থিত লিথুয়ানিয়ার পাব্রাদে শহরে জেনারেল সিলভেস্ট্রাস জুকাউস্কাস প্রশিক্ষণ মাঠে একটি সামরিক মহড়াকালে গত মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) ওই চার মার্কিন সেনাকে বহনকারী একটি গাড়ি নিখোঁজ হয়।
নিখোঁজ সেনাদের সন্ধানে লিথুয়ানিয়ান ও বিদেশি সেনাদের পাশাপাশি বিমান বাহিনী ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়। তবে এখনও সেনাদের সন্ধান না পাওয়া গেলেও তাদের বহনকারী গাড়িটি পাওয়া গেছে।
মার্কিন সেনাবাহিনীর ইউরোপ ও আফ্রিকার জনসংযোগ দফতর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘প্রশিক্ষণ মহড়ার সময় নিখোঁজ চার মার্কিন সেনা যে এম৮৮ হারকিউলিস সাঁজোয়া উদ্ধারকারী যানটি ব্যবহার করছিলেন, সেটি পাওয়া গেছে। প্রশিক্ষণ এলাকার একটি জলাশয়ে ডুবন্ত অবস্থায় থাকা গাড়িটি উদ্ধার করা হয়েছে। সেনাদের অনুসন্ধান প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
বুধবার (২৬ মার্চ) সকালের দিকে বিষয়টি নিয়ে প্রথম কথা বলেন ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুট। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, নিখোঁজ চার সেনা ‘নিহত’ হয়েছেন। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানেন না বলে জানান তিনি।
কয়েক ঘণ্টা পর ন্যাটো মহাসচিবের বক্তব্যের জন্য ভুল স্বীকার করেন সংস্থাটি। এর ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র অ্যালিসন হার্ট এএফপিকে বলেন, ‘সেক্রেটারি জেনারেল সম্প্রতি প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করছিলেন। তিনি চার মার্কিন সেনার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেননি। তবে তিনি উল্লেখ করেছেন যে বিস্তারিত তথ্য এখনও নিশ্চিত করা হয়নি।’
লিথুয়ানিয়ান সেনাবাহিনী এক বিবৃতি বলে, ‘সেনাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করার মতো কোনো প্রমাণ বা তথ্য নেই’। লিথুয়ানিয়ান প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডোভিলে শাকালিয়ানে এক এক্স পোস্টে বলেন, ‘লোকজন চব্বিশ ঘন্টা কাজ করছে। সবাই জরুরি চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।’
লিথুয়ানিয়ায় ১ হাজারেরও বেশি মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে। লিথুয়ানিয়া ছাড়া এই অঞ্চলের লাটভিয়া ও এস্তোনিয়া ন্যাটো সদস্য। ১৯৯০ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা ঘোষণার পর থেকে রাশিয়ার সাথে এই তিন দেশের শীতল সম্পর্ক বজায় রয়েছে। ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইউরোপের এই অঞ্চলে উত্তেজনা বেড়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।