লিবিয়ার ডেরনা অঞ্চলে এরকম ভয়াবহ বন্যা দেখে বিশ্ব হতবাক হয়েছে। এ অঞ্চল অনেকটা সুনামির মতোই ভেসে গেছে এবং উদ্ধার করার মতো সামর্থ্য কারও ছিল না। প্রায় ৫ হাজার মানুষ মৃত্যুর মুখোমুখি হতে বাধ্য হয়েছে। বন্যা এত ভয়াবহ ছিল যে, মনে হল সমুদ্র একেবারে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে।
মানুষ ঘুমিয়ে ছিল। এরকম ভয়াবহ বন্যার জন্য কেউ প্রস্তুত ছিল না। মানুষ তার স্বজন এবং প্রতিবেশীদের হারিয়ে বিধ্বস্ত ও ক্লান্ত। শুরুটা ছিল ঘূর্ণিঝড় দিয়ে। ঘূর্ণিঝড়ের পরে শুরু হয় প্রবল বৃষ্টি। আসলে সেপ্টেম্বর মাসে লিবিয়ায় খুব সামান্য বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে।
কাজেই এটা অবাক করার মত বিষয় ছিল যে, এত অল্প সময়ে ৪০০ মিলিমিটারের উপরে বৃষ্টিপাতের ঘটনা ঘটবে। সেপ্টেম্বর মাসে লিবিয়ায় সাধারণত এমনটা হয় না। বন্যার ঢল এতটা শক্তিশালী ছিল যে, সেখানে বাঁধ দেওয়া হলেও তা টিকতে পারেনি।
এ দুর্যোগ মানব সৃষ্ট এবং প্রাকৃতিক দুই ভাবেই ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। কেননা আগে থেকে সতর্কতা জারি করা হয়নি এবং দুইটি বাঁধ ছিল অত্যন্ত দুর্বল। বাঁধ শক্তিশালী হলে হয়তো কিছুটা আশা ছিল। তবে ডেরনা অঞ্চলটি অনেক আগ থেকেই অবহেলিত অবস্থায় রয়েছে।
গত কয়েক বছর ধরে এ অঞ্চলটি নানা সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সময়ের সাথে সাথে লাশের সংখ্যা বাড়ছে। গন কবর তৈরি করতে হচ্ছে। হাসপাতালগুলো মার্কেট এ পরিণত হয়েছে। তাছাড়া এই অঞ্চলে উদ্ধার কাজের তৎপরতা চালানো বেশ কঠিন বলে মনে হয়েছে।
রেডক্রস জানিয়েছে যে, এ অঞ্চলের অবস্থা এতটা খারাপ যে জরুরি অবস্থা কয়েক মাস ধরে চলতে থাকবে। এই ভয়াবহ সমস্যা মুহূর্তেই কেটে যাবে না। সময়ের সাথে সাথে পরিস্থিতি আরো কঠিন হতে চলেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।