আমরা যেখানেই যাই না কেন, স্মার্টফোন নিয়মিত আমাদের অবস্থান শনাক্ত করতে থাকে। তাই আমরা কবে কখন কোথায় অবস্থান করেছি, এটা কেউ না জানলেও আমাদের সঙ্গে থাকা ফোন কিন্তু ঠিকই জানে। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই ফোনে লোকেশন সুবিধা বন্ধ রাখেন। কিন্তু লোকেশন সুবিধা বন্ধ থাকলেও বেশ কিছু কৌশলে গোপনে ফোনের অবস্থানের তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে গুগল। অর্থাৎ আমরা যেখানেই যাই না কেন, আমাদের অবস্থানের তথ্য সংগ্রহ করে প্রতিষ্ঠানটি। গুগল যেসব কৌশলে গোপনে ফোনের অবস্থানের তথ্য সংগ্রহ করে সেগুলো জেনে নেওয়া যাক।
আইপি ঠিকানা
ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় ফোনসহ সব যন্ত্র একটি নির্দিষ্ট আইপি (ইন্টারনেট প্রটোকল) ঠিকানা ব্যবহার করে। এই আইপি ঠিকানা পর্যালোচনা করে গুগল ফোনের অবস্থান এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের ইতিহাস সংগ্রহ করে থাকে।
ব্লু-টুথ
ফোনের ব্লু-টুথ সিগন্যাল কাজে লাগিয়ে আশপাশে থাকা অন্যান্য যন্ত্রের মাধ্যমেও ফোনের অবস্থান সংগ্রহ করে থাকে গুগল।
মোবাইল টাওয়ার
মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় ফোন আশপাশে থাকা মোবাইল টাওয়ারের সঙ্গে যুক্ত থাকে। তাই মোবাইল টাওয়ারের সিগন্যাল বিশ্লেষণ করেও ফোনের অবস্থান শনাক্ত করে থাকে গুগল।
ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের তথ্যভান্ডার
গুগল ফোন ব্যবহারকারীদের তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি তাদের ব্যবহৃত ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কগুলোর তথ্যভান্ডার তৈরি করে থাকে। এর ফলে জিপিএস ছাড়াই ফোনের অবস্থান দ্রুত শনাক্ত করতে পারে প্রতিষ্ঠানটি।
ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক
ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত রাউটারের সিগন্যাল ও অ্যাকসেস পয়েন্টের মাধ্যমে ফোনের অবস্থানের তথ্য শনাক্ত করা যায়। এর ফলে ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হলেই সেই নেটওয়ার্কের অবস্থানগত তথ্যের পাশাপাশি সিগন্যালের ক্ষমতা পর্যালোচনা করে ফোনের অবস্থানের তথ্য সংগ্রহ করে থাকে গুগল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।