জুমবাংলা ডেস্ক: মাদারীপুরে এক কিশোরীকে (১৪) জোর করে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাকে উদ্ধারের পরে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার (৭ জুলাই) রাতে ওই কিশোরীর বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ধর্ষিত কিশোরীর মা বেঁচে নেই। মেয়েটি বাবা ও দাদীর সঙ্গে আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘরে থাকে। গতকাল শুক্রবার (৭ জুলাই) দুপুরে প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে ফেরার পথে ছিলারচর ইউনিয়নের লক্ষীপুর এলাকার শওকত তস্তার (৩০) মেয়েটির মুখ চেপে পাশের একটি পুকুর পাড়ের ঝোপের ভেতর তুলে নিয়ে যায়। পরে ওই কিশোরীকে ২ ঘণ্টা আটকে রেখে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় এক প্রতিবেশী পুকুর পাড় দিয়ে যাওয়ার সময় দেখতে পেয়ে স্থানীয়দের ডাক দিলে ওই যুবক পালিয়ে যায়। পরে ভুক্তভোগী কিশোরীকে উদ্ধার করে মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কিশোরীর বাবা বলেন, আমার মেয়েটি খুবই সহজ সরল। আমি সারাদিন ভ্যান চালাই আর মেয়েটি আমার ফুফুর সঙ্গে বাড়িতে থাকে। শওকত আমার মেয়ের সর্বনাশ করেছে আমি ওর কঠিন বিচার চাই।
কিশোরীর দাদী বলেন, ওর মা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমার হাতেই মানুষ হইছে। আমরা গরীব মানুষ তাই ওর পড়ালেখাটাও করাইতে পারি নাই। আমার নাতনিকে জোর কইরা শওকত এই কাজটা করছে। লোকজন দেখতে না পাইলে আমার নাতনিডারে ওই জানোয়ার মাইরা ফালাইতো। ওর কঠিন বিচার চাই।
মাদারীপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. মুনীর আহমদ খান বলেন, ওই মেয়েটিকে হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তার প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু হয়েছে। কিছু প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেয়া হয়েছে, ফলাফলের আসলে বাকিটা বলা যাবে।
এ বিষয়ে মাদারীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ধর্ষণের অভিযোগ এনে ভুক্তভোগীর বাবা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।